বহুল আলোচিত এ মামলার তদন্ত শেষে রোববার (১৪ মে) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) এসএম শাহাদাৎ হোসেন।
যশোর আদালত পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- মণিরামপুরের চালকিডাঙ্গা গ্রামের রুস্তম আলী দফাদারের ছেলে ইয়াকুব আলী, টুনিয়াঘরা গ্রামের মৃত আজুর ছেলে আল আমিন, মুরাদ শেখের ছেলে ইমন শেখ, মৃত নুর আলীর ছেলে ইসরাফিল ও আজিজুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কন্দবপুর গ্রামের দুই কিশোরী চাকলিডাঙ্গা বাজারে ওষুধ কিনতে যায়। বাড়ি ফেরার পথে নীমতলা এলাকায় পৌঁছলে আসামিরা তাদের গতিরোধ করে।
এ সময় ছুরির ভয় ও মারধর করে আসামিরা তাদের পাশের নার্সারিতে নিয়ে যায়। এরপর ইয়াকুব আলী ও ইসরাফিল দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং অপর তিনজন মোবাইলে তা ভিডিও করে।
এরমধ্যে চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামিরা মোবাইলে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এক কিশোরীর বাবা ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারনের সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই ৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। চার্জশিটে অভিযুক্ত আল আমিন ও ইমন শেখকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
ইউজি/জেডএস