সোমবার (১৫ মে) সকালে পিবিআই’র তদন্ত দলের আতিয়া মহল পরিদর্শন শেষে মামলা দু’টির অগ্রগতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে তদন্তকারী দলের সদস্যরা জঙ্গি আস্তানা ও আশেপাশের কক্ষগুলো পরিদর্শন করেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহল' থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার ও অভিযান চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলারই তদন্ত করছে করেছে পিবিআই।
গত ২৪ মার্চ ভোরে আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ২৫ মার্চ সকাল থেকে ২৮ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত আতিয়া মহলে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ পরিচালনা করে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল।
২৫ মার্চ সন্ধ্যায় আতিয়া মহল সংলগ্ন পাঠানপাড়া দাখিল মাদ্রাসার পাশে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পাশে কাছে দুই দফা বোমা বিস্ফোরণে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ সাতজন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত অর্ধশত। অভিযানে চার জঙ্গিও নিহত হন।
২৮ মার্চ সন্ধ্যায় অপারেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান। এরপর আতিয়া মহলকে বিস্ফোরকমুক্ত করতে ‘অপারেশন ক্লিয়ারিং আতিয়া মহল’ শুরু করে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
আতিয়া মহলে বিস্ফোরক উদ্ধার ও অভিযান চলাকালে অদূরে বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দু’টি মামলা করে পুলিশ। মোগলাবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিপলু দাস বাদী হয়ে হত্যা মামলা এবং এসআই সুহেল বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন।
এতোদিন মামলা দু’টির তদন্ত করছিলেন মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল। গত মঙ্গলবার (০৯ মে) পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলা দু’টি পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার (১৩ মে) মামলার আলামত ও কেস ডকেট গ্রহণ করার মাধ্যমে তদন্ত শুরু করে পিবিআই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এনইউ/জিপি/এএসআর