এবারের স্পটগুলোতে কেজিপ্রতি চিনি ৫৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা ও মসুর ডাল ৮০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা লিটারে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে খেজুর বিক্রি করা হবে আরো ৩-৪ দিন পর থেকে।
বাজারের চেয়ে এখানে দাম কম থাকায় সোমবার (১৫ মে) মতিঝিলের স্পটগুলোতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পণ্য বিক্রির দায়িত্বে থাকা টিসিবি’র অফিস সহকারী মো. হোসেন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ছোলা, ডাল, তেল ও চিনি বিক্রি করছি। প্রথম দিন আমাদের পরীক্ষামূলকভাবে মোট ১ হাজার ৫০০ কেজি পণ্য দেওয়া হয়েছে। এখানে চাহিদা অনেক। আশা করছি, কাল (মঙ্গলবার) থেকে আরো বেশি পণ্য পাবো’।
স্পটগুলোতে জনপ্রতি চিনি, মসুর ডাল ও ছোলা ২ কেজির বেশি দেওয়া হচ্ছে না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের স্পট থেকে ২ কেজি করে চিনি ও মসুর ডাল কিনেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘খোলা বাজারের তুলনায় এখানে পণ্য কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনেছি’।
কমলাপুর এলাকার গৃহিণী আসমা আক্তার বলেন, ‘দাম কম, তাই এখান থেকে কিনছি’।
একই অবস্থা মতিঝিলের দিলকুশা, বাংলাদেশ বিমান ও দৈনিক বাংলার মোড়ের স্পটগুলোতে।
বাংলাদেশ বিমান কার্যালয়ের সামনে থেকে পণ্য কিনেছেন জুরাইন এলাকার বাসিন্দা মাসুম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজারে যেসব পণ্য রয়েছে, সেগুলোর তুলনায় দাম এখানে কম। গুণগত মানও ভালো। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে ছোলা আর তেল কিনেছি’।
টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, রমজান উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে তেল, চিনি, মসুরের ডাল, খেজুর এবং ছোলা বিক্রি করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের হাত থেকে নিত্যপণ্যের ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, এবার রাজধানীসহ সারাদেশে ১৮৫টি ট্রাকসেল ও ২ হাজার ৮১১ জন ডিলারের মাধ্যমে চার ধরনের পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে পণ্য বিক্রি করা হবে।
গত ৩০ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পর্যালোচনা বৈঠকে টিসিবি’র চেয়ারম্যান আবু সালেহ মোহাম্মদ গোলাম আম্বিয়া জানান, ১৫ মে থেকে ৫টি নিত্যপণ্য নিয়ে মাঠে থাকবে টিসিবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এমএফআই/আরআর/এএসআর