ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাল্যবিয়ে মুক্ত’ শ্রীমঙ্গলে বাল্যবিয়ের চেষ্টা

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
‘বাল্যবিয়ে মুক্ত’ শ্রীমঙ্গলে বাল্যবিয়ের চেষ্টা কনেবাড়ির প্রধান ফটক, ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: ‘বাল্যবিয়ে মুক্ত’ ঘোষিত শ্রীমঙ্গলে ফের ঘটে যাচ্ছিলো বাল্যবিয়ে। স্কুলের শিক্ষক ও মানবধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডায়লগ এইড ফাউন্ডেশন (ইডাফ) শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার একদল কর্মীর প্রচেষ্টায় এ যাত্রা রক্ষা পেলো ১৬ বছরের মেয়েটি। স্থানীয় স্কুলের এক প্রধান শিক্ষকসহ অপর দুই শিক্ষকের সহায়তায় মানবাধিকারকর্মীরা এ বাল্যবিয়ে ঠেকান।

সোমবার (১৫ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের ঘটনা এটি।
 
জানা যায়, ভূনবীর গ্রামের গরিব দিনমুজুর মখসুদ মিয়া।

তার মেয়ে তামান্না আক্তার স্থানীয় ভূনবীর দশরথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।
 
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তারিক হাসান বলেন, খবর পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঝলক কান্তি চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আমরা তিনজন মেয়েটির পরিবারসহ বরপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। সঙ্গে ছিলেন মানবাধিকারকর্মীরাও।   অনেক বোঝানোর পর তারা বাল্যবিয়ে থেকে বিরত থাকেন।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্ট আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই এ ব্যাপারে আমার কিছুই করার নেই।
 
শুরুতে তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, মেয়েটি যদি বিয়েতে রাজি না থাকে তাহলে বের হয়ে আসে না কেন?
 
এদিকে ‘কন্যাশিশুর বিয়ে নয়, করবে তারা বিশ্বজয়’ -এ স্লোগানে গত বছরের ৮ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে হাজারও লোকের উপস্থিতিতে ‘বাল্যবিয়ে মুক্ত’ উপজেলা হিসেবে শপথ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ।
 
ইডাফ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির আহমেদ বলেন, আমরা গিয়ে দেখি বরপক্ষ এসে পড়েছে। দশরথ স্কুলে গিয়ে রেজিস্ট্রার্ড খাতায় দেখি মেয়েটির বয়স ১৬। পরে আমরা গিয়ে বিয়ে ঠেকানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেই।  

 বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।