ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ জনজীবন

মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
খুলনায় লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ জনজীবন খুলনায় লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ জনজীবন- ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: দুঃসহ গরম আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের কারণে দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে খুলনাবাসীর জনজীবন। প্রতিদিনি সকাল থেকে শুরু হচ্ছে লোডশেডিং আর চলছে গভীর রাত পর্যন্ত।  

প্রায় সর্বত্রই এভাবে লোডশেডিং চলছে। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে  ছোট বড় শিল্প কারখানাগুলোতে উৎপাদন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র গরম আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। গ্রাম থেকে শহর সবখানেই লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়ছে। তবে শহরে লোডশেডিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে বিদ্যুৎ এলেও গ্রামের অবস্থা খুবই নাজুক। কোথাও কোথাও সারাদিনও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না।

এক অনুসন্ধানীতে জানা যায়, কোনো রকম একটু বাতাস, কয়েক মিনিটের বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ থাকে না খুলনা সিটি করপোরেশনের ১ ও ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায়। এ এলাকার বাসিন্দারা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড খুলনা জোনের বি বি বি ২ এর আওতাভুক্ত।

খুলনা সিটি করপোরেশনের অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ  ঠিক থাকলেও এ জোনের মহেশ্বর পাশা, রেলগেট, কালিবাড়ি, গোলকধাম, বনিকপাড়া, পশ্চিম পাড়া, বুচিতলা, পাল পাড়া ও তেলীগাতিসহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ মারাত্মক লোডশেডিং এর কবলে পড়ছেন প্রতিনিয়ত। সামান্য একটু বাতাস হলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ।
খুলনায় লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ জনজীবন- ছবি: বাংলানিউজ
মহেশ্বর পাশা এলাকার মো. ওয়েজুল বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগীয় শহর হলেও বাতাস আর বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ লাপাত্তা। রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট জোনে ফোন করা হলে কেউ ফোন ধরেন না।

ফুলমার্কেট এলাকার রোটারেক্টর জিএম রাসেল ইসলাম লোডশেডিং চলা অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, লোডশেডিং এর কারণে  তীব্র  পানি সংকট দেখা দিয়েছে।   পানি সংকটে  সময়মতো গোসল, হাত-মুখও ধোয়া যাচ্ছে না। দিনের মতো রাতেও একই অবস্থা। লোডশেডিংয়ে গভীর রাতেও ঘুমন্ত মানুষকে আঁতকে উঠতে হচ্ছে। শুধু মানুষের কষ্টই নয়, বিদ্যুৎ-পানি সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প-কারখানার উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, লেখাপড়া, এমনকি চিকিৎসা ব্যবস্থাও।

সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও এতো লোডশেডিং কেন এমন প্রশ্ন রাসেলের।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) প্রধান প্রকৌশলী হাসান আলী তালুকদার লোডশেডিং হচ্ছে স্বীকার করে সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, ২২ মে অর্থাৎ রোজার আগে লোডশেডিং কমে যাবে। ফরিদপুর গোপালগঞ্জের ইউনিটগুলো চালু হয়ে গেলে লোডশেডিং বন্ধ হয়ে যাবে।

দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না এলে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে কেউ ফোন ধরেন না এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, কেউ যদি দুই একবার ফোন দিলে না ধরে সেই অফিসের টেলিফোন নম্বর আমাকে দিলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এমআরএম/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।