ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ক্যাবল অপারেটরদের বিরুদ্ধে দর্শক ফোরামের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
ক্যাবল অপারেটরদের বিরুদ্ধে দর্শক ফোরামের অভিযোগ

ঢাকা: বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরামের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (পরিচালনা ও লাইসেন্সিং) বিধিমালা-২০০৬ লঙ্ঘন করে দেশে বিদেশি চ্যানেলের অবাধ সম্প্রচারের কারণে দেশীয় চ্যানেল হুমকির মুখে পড়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস-ঐতিহ্য, সামাজিক মেলবন্ধন ও সংস্কৃতি।

সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় ফোরামের সভাপতি এরফানুল হক নাহিদ ও মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন মুন্নার দেওয়া ওই বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরামের নেতারা বলেন, বাংলাদেশে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (পরিচালনা ও লাইসেন্সিং) বিধিমালা-২০০৬ এর কোনো তোয়াক্কাই করছেন না দেশীয় ক্যাবল অপারেটররা।

দেশীয় চ্যানেলগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাইম ব্যান্ডে দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও অপারেটররা তা করছেন না। বরং তারা বিদেশি অনেক অনুমোদনহীন চ্যানেল প্রতিযোগিতা করে দেশে চালাচ্ছেন। ফলে সম্ভাবনাময় দেশি চ্যানেলগুলো দর্শকদের কাছাকাছি আসতেই পারছে না। এছাড়া দর্শকরা আমাদের সংগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গৌরবময় ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ধারা থেকে অপ-সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছেন।  

এজন্য সরকার ও ক্যাবল অপারেটরদেরদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানান তারা।
 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে, ভারতে অন্য দেশের চ্যানেল ডাউনলিংক করতে হলে প্রথম ডাউনলিংকের জন্য ৫ কোটি রুপি, অনুমতি মঞ্জুরের সময় ১০ লাখ রুপি এবং বার্ষিক ফি হিসেবে ১৫ লাখ রুপি দিতে হবে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল মাত্র তিন লাখ টাকার টোকেন মানি দিয়ে চালু করা যায়। এছাড়া, বেশিরভাগ ভারতীয় চ্যানেল ‘ফ্রি টু এয়ার’ (বিনামূল্যের) হওয়ায় সব চ্যানেল সম্প্রচার করা অত্যন্ত সুবিধাজনক। বাংলাদেশে ৫০টিরও বেশি ভারতীয় চ্যানেল নির্বিঘ্নে সম্প্রচার হচ্ছে।  

এ কারণে বাংলাদেশের অনেক কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপন ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
 
ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরামের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পে চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে চলে যাচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।  দেশের কোটি কোটি টিভি দর্শকদের ভালো মন্দ জানানোর জন্য হেল্পলাইন চালুর কথা আমরা বলে আসছি, কিন্তু সরকারের কোনো ভ্রক্ষেপই নেই সেদিকে।  

দেশ-বিদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন মনিটরিং করার জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন এবং অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন সেন্সর করার জন্য টেলিভিশন সেন্সর বোর্ড গঠন করারও দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

এতে দেশি টিভি চ্যানেলগুলোকে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, কোনো চ্যানেল ১০ মিনিটের বেশি এক নাগাড়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না। রাষ্ট্রপধানদের সংবাদ, অনুষ্ঠান এবং মর্মান্তিক কোনো ঘটনার সরাসরি সম্প্রসচারের সময় এল টাইপের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। এতে দর্শকরা বিরক্ত হন। রিমোর্ট অন্য চ্যানেলে নিয়ে যান। টিভি মালিকদের এটা ভাবতে হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এসজে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।