মঙ্গলবার (১৬ মে) হোটেল রেইন ট্রিতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এর পরেই প্রশ্নোত্তর পর্বে মুখোমুখি হন হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আদনান হারুন।
তাহলে সংবাদ সম্মেলন কেন ডেকেছেন, জানতে চাইলে এমডি’র উত্তর, প্রেস রিলিজ আপনাদের হাতে দেওয়া হয়েছে, এর বাইরে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।
সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না।
এ কথা বলেই সংবাদ সম্মেলন স্থল ত্যাগ করে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার পর হোটেল থেকে জানানো হয় সেদিন কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি, আজ বলা হচ্ছে ঘটেছে, এ প্রশ্নে আদনান হারুন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি আমাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের কথা বলা হয়নি’।
এ ঘটনায় হোটেলের কেউ জড়িত থাকলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তে প্রমাণিত হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা বলেন, হোটেলটির যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে ধর্ষণের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যা আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে জানতে পারি।
এ ঘটনায় জড়িত আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত নাঈমসহ সব অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তদন্তে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
হোটেলের ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক ফরগেটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ঘটনার দিন তিনি সস্ত্রীক হোটেলে অবস্থান করছিলেন। ২৮ মার্চ রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হোটেলে অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি। এমনকি ভিকটিমরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে কোনো অভিযোগও করেননি।
এছাড়া হোটেলের রুমগুলো সাউন্ড প্রুফ হওয়ায় ভেতরের ঘটনা উপলব্ধির সুযোগও ছিল না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিসিটিভি ফুটেজ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডিলিট করা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়টিও সঠিক নয় মন্তব্য করে মোস্তফা বলেন, ৩০ দিন পর সিসিটিভি ফুটেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ডিলিট হয়ে যায়।
হোটেলের পরিচালক মাহির হারুন সাফাতের জন্মদিনে কেক সরবরাহ করার খবরটিও সত্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসামি সাফাত একদিনই হোটেলে রাত্রিযাপন করেন। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই প্রয়োজনীয় তথ্য রেখে তাকে রুম ভাড়া দেওয়া হয়েছিল, যেসব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সরবরাহ করা হয়েছে। হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী সাফাতের জন্মদিনে কেক সরবরাহ করা হয়েছে, এর সঙ্গে মাহির হারুনের সংশ্লিষ্টতা নেই।
শুল্ক গোয়েন্দারা ১০ বোতল মদ পেয়েছেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৩ মে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কোনো মাদক খুঁজে পায়নি। ওইদিন সন্ধ্যায় হোটেলের সিসিটিভি সিস্টেম জব্দ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন সকালে কীভাবে হোটেলে মদ পাওয়া গেলো সেটা আমাদেরও প্রশ্ন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬/ আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা
পিএম/ওইচ/জেডএস