সোমবার (মে ১৫) বিকেলে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার হকার্স মার্কেটের সামনে শ্রমিক বেচা কেনার হাটে বিষয়টি চোখে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকের বাজারদর কিছুটা চড়া থাকার কারণে দর কষাকষি চলছে চাষি ও শ্রমিকদের মধ্যে।
সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা থেকে আসা কৃষি শ্রমিক আরজু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সারা বছর নিজ এলাকাতে ভ্যান চালাই। আমার নিজের অল্প কিছু কৃষি জমিও আছে। সেই জমির কাজ শেষ করে মানিকগঞ্জে এসেছি কৃষি কাজ করতে। গত চারদিনে দৈনিক ছয়শ’ টাকা বাজার দরে কাজ করেছি। তবে আজকের বাজারদর একটু বেশি থাকায় সাড়ে ছয়শ’ টাকার কমে কাজে যাবো না।

জেলার সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ এলাকার ধানচাষি নয়া মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, তিন বেলা খাবার দেওয়ার পরে সাড়ে ছয়শ’ টাকা করে শ্রমিক নেওয়া অনেকটা ব্যয়বহুল। তবে ক্ষেতে এখন পাকা ধান। বৃষ্টি হলেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। কাজেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিয়েই চারজন শ্রমিক নিতে হচ্ছে। সাধারণত সাড়াবছর ৩’শ থেকে সাড়ে ৩’শ টাকায় দৈনিক ভিত্তিতে একজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও এখন সেই শ্রমিকের জন্য গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা।
ধান ও সবজির জমিতে কাজের জন্য শ্রমিক নিতে এসেছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাট্টিগ্রাম এলাকার ফয়জুল মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিকের বাজারদর বেশি থাকার কারণে অনেকটা হতাশায় আছি। ধানের ফলন ভালো হওয়ার পরেও অতিরিক্ত খরচের কারণে লাভের আশা নিয়েও চিন্তায় আছি। তবে নিজ এলাকায় শ্রমিকের সংকট থাকার কারণে এ হাটে বাজারদরে শ্রমিক নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প উপায় নেই।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলীমুজ্জামান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় এবার ৪৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। প্রায় সব এলাকায় এক যোগে ধান কাটা শুরু হয়েছে। যে কারণে কৃষি শ্রমিকের দাম কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে এবার ফলনও বেশি ভালো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
আরআইএস/জেডএম