সোমবার (১৫ মে) দিনগত রাত ৯টার দিকে জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের এক যৌথ বৈঠক শেষে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকেই বাস শূন্য হয়ে পড়েছে জেলার সব সড়ক-মহাসড়ক।
নাটোর বাস-টার্মিনালে আসা নলডাঙ্গার শরকুতিয়া গ্রামের রাজ্জাক, আহসান আলী বাংলানিউজকে জানান, ধর্মঘটের বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। জরুরি কাজে ঢাকায় যাওয়ার জন্য টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা। একই কথা জানালেন আরো অনেকে।
এছাড়া জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সময় মতো তাদের অফিসে যেতে পারছেন না। ছোট ছোট যানবাহনে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও পরিবহন সেক্টরের লোকজন তাদের বাধা দিচ্ছেন। কেউ কেউ গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
বাস টার্র্মিনালে আসা অপর যাত্রী কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দু’দিন আগে ঢাকায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছেন। বাস টার্মিনালে এসে দেখেন সবকিছুই বন্ধ। বাসও নেই, টিকিটের টাকাও ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সব কাউন্টার বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন। এসময় ন্যাশনাল ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার ইউনুস আলী বাংলানিউজকে জানান, সোমবার রাতে ধর্মঘটের খবর পেয়ে তারা টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। যারা আগে টিকিট নিয়েছেন তারা চাইলে পরিস্থিতি ঠিকঠাক হলে টিকিটের টাকা ফেরত নিতে পারবেন অথবা গন্তব্যস্থলে যেতেও পারবেন।
নাটোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি লক্ষণ পোদ্দার বাংলানিউজকে জানান, সিংড়া উপজেলায় জেলা মোটর মালিক সমিতির নাম দিয়ে নাটোর-বগুড়া রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনো ফল না পাওয়ায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, এ চাঁদা আদায় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে তাদের দপ্তরে কোনো অভিযোগপত্র পাওয়া যায়নি। ধর্মঘটের বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। খুব শিগগিরই আশা করা যায় সমাধান হয়ে যাবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
আরবি/