মঙ্গলবার (১৬ মে) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।
নারী সংহতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাসলিমা আখ্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিত চন্দ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কানিজ ফাতেমা।
সমাবেশ শেষে সকল খুনি-ধর্ষক এবং যৌনসন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে একটি মশাল মিছিল বের হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, উৎসবে হামলা করা থেকে শুরু করে যৌন সন্ত্রাসীসহ সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের পরে বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে সব বয়সের নারীরা। এসব ধর্ষক এবং খুনিদের ধরতে ব্যর্থ কিংবা অনিচ্ছুক সরকার সমাধানের ঠিক উল্টো পথ বেছে নিচ্ছে। এর ফল হিসেবে আমরা দেখবো বাল্য বিবাহের বিশেষ বিধান হিসেবে ধর্ষকদের বিবাহের মাধ্যমে পুরষ্কৃত করার ব্যবস্থা। এভাবে অপরাধ এবং অপরাধীর আড়াল করেই আজ খুন-ধর্ষণ সারা দেশে ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে।
সমাজে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার প্রধান উপায় সর্বত্র নারীর সক্রিয় উপস্থিতি বাড়ানো উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বনানী, গুলশান, ঠাকুরগাঁও, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, সিলেটসহ দেশের প্রায় সর্বত্র ধর্ষণের মতো ভয়াবহ ঘটনা অব্যাহতভাবে ঘটে চলেছে এবং অধিকাংশ সময়ে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারের নীরব ভূমিকা লক্ষ্য করছি। মামলা গ্রহণ না করা, আসামিদের ধরতে চূড়ান্ত অবহেলা এবং বিচারহীনতার কারণে বছর জুড়ে নারী-নিপীড়ন আর ধর্ষণের খবর আসতেই থাকে।
সম্প্রতি বনানীর একটি রেস্টুরেন্টে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, যদি দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে না পারি তাহলে ধর্ষক সাফাত, নাঈম, সাদাফ, মুজিবর আর তাদের রক্ষাকর্তা হিসাবে শত শত আপন জুয়েলার্সের মালিক দিদান আহমেদ সেলিম, বনানী থানার ওসি ফরমান আলীদের অভয়ারণ্য হবে আমাদের সমাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
পিআর/এমজেএফ