বুধবার (১৭ মে) সকালে ফ্লাইওভারের ৪৫০ মিটার অংশটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
প্রথম ধাপে গত বছরের ৩০ মার্চ ফ্লাইওভারটির তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে রমনা থানা সংলগ্ন হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল পর্যন্ত দুই দশমিক ১১ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ অংশ খুলে দেওয়ার ফলে হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল থেকে যানবাহনগুলো কোনো ক্রসিং ছাড়াই মগবাজার রেলক্রসিং ও এফডিসি রেলক্রসিং পার হয়ে সোনারগাঁও পয়েন্টে গিয়ে নামতে পারছে।
তৃতীয় ধাপের উদ্বোধনকালে মন্ত্রী জানান, অবশিষ্ট বাংলামোটর থেকে মৌচাক হয়ে শান্তিনগর-রাজারবাগ অংশের নির্মাণ কাজও শেষের পথে। আগামী জুনের মধ্যে এ অংশটিও খুলে দেওয়া হবে। ফলে পুরো প্রকল্পে যান চলাচল শুরু হবে।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ফ্লাইওভার হলেই যে রাজধানী পুরোপুরি যানজট মুক্ত হবে তা নয়। তবে অনেকটাই কমবে।
তিনি জানান, ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নগরে আর যানজট থাকবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও ফ্লাইওভার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমসিসিসি-তমা কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তারা।
এক হাজার ২১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার ফ্লাইওভারটির বিভিন্ন অংশের নির্মাণ কাজ করছে ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স-নাভানা জেভি’, চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। পুরো কাজের তত্ত্বাবধান করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।
মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর ও তেজগাঁওয়ের যানজট নিরসন ও অবাধ যান চলাচল নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পটি গ্রহণ করে সরকার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
শুরুতে ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভারটি দুই বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। তবে তিন দফায় বাড়িয়ে আগামী জুন পর্যন্ত মেয়াদ ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এসএফডি’র একক ঋণ সহায়তার পরিমাণ ৩৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের বাকি অর্থায়ন করছে সরকার ও ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এমএন/এএসআর