ঢাকা, শনিবার, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ০১ মার্চ ২০২৫, ০০ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

রামপাল নিয়ে সরকার তথ্যগত ধোঁকাবাজি করছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
রামপাল নিয়ে সরকার তথ্যগত ধোঁকাবাজি করছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন/ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: রামপাল নিয়ে সরকার তথ্যগত ধোঁকাবাজি করছে বলে মন্তব্য করছেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল। বুধবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি।

কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কয়লার ফ্লাই অ্যাশ (ছাই) পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হবে। এ ক্ষতি আজকে হবে তা বলছি না।

দীর্ঘ সময় পর আমরা এটা বুঝতে পারবো। এ বিষয় নিয়ে আমরা ৭টি বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছি। যাতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা রামপলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সর্ম্পকে যে তথ্য দিচ্ছি তা বিজ্ঞানভিত্তিক। রামপাল নিয়ে আমরা কোনো রাজনীতি করছি না।

সংবাদ সম্মেলনে আমেরিকার পরিবেশ বিজ্ঞানী এ. ডেনিস লেমলির একটি গবেষণা পত্র তুলে ধরা হয়। গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, রামপালের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৬০ বছরে ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ৩৮ মিলিয়ন টনের ছাই উৎপাদন করবে। এই ছাইয়ের একটি অংশ কনক্রিট ও ইট তৈরিতে ব্যবহার হবে। বাকি ছাইয়ে বর্জ্য রাখার ১২টি পুকুর অতিদ্রুত পূর্ণ হয়ে যাবে। কয়লার ছাই অপসারণের পরিকল্পনাসমূহ মাছ ও বন্যপ্রাণী এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট জনসম্পদকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে।

গবেষণা পত্রে  আরও বলা হয়, ওই ছাই থেকে সেলিনিয়াম নামক বিষাক্ত তেজস্ব ক্রিয়া বের হয়ে পানি দূষিত হবে। জলজ খাদ্য চক্রের জন্য বিষাক্ত ঘনত্ব তৈরি করতে পারে। এর কারণে মাছ নানা ধরনের রোগ ও বিকৃতি নিয়ে জন্ম হতে পারে।   এ মাছ যদি কোনো গর্ভবতী মা খায় তাহলে তার সন্তানও নানা শারীরিক বিকৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ও অধ্যাপক বাসার, প্রফেসর আজিজ, ড. মতিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এমএ/আরআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।