মামির কাছ থেকে প্রায় সময় হাত খরচের টাকা নিতেন শাকিল। সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে শাকিলকে হাত খরচের টাকা দেওয়া কমিয়ে দেন মিতু।
বুধবার (১৭ মে) বেলা ১২টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন।
গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর কাফরুলের ইব্রাহিমপুর এলাকায় নিজ বাসায় মিতুকে চাকু দিয়ে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি তার ভাগিনা শাকিলকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন বলেন, শাকিল খুনের কথা স্বীকার করেছেন। সম্পর্কের টানাপড়েন ও আর্থিক লেনদেনের কারণেই মিতুকে তিনি গলা কেটে হত্যা করেন।
তিনি বলেন, মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শাকিল দ্রুত বের হয়ে বাড়ির দেয়াল টপকে পালিয়ে যান। হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি ওই দেয়ালের ওপর ফেলে যান।
গ্রেফতারের পর শাকিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই চাকুটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল জানান, ঘটনার আগের দিন (১৭ এপ্রিল) শাকিল তার মামি মিতুকে বেশ কয়েকবার ফোন দেন ও মেসেজ করেন। কিন্তু কোনো উত্তর পাননি। এরপর তিনি মিতুর বাসার পেছনে গিয়ে অবস্থান নেন। সকাল ১০টার দিকে দরজায় নক করে কোনো সাড়া পাননি। অপেক্ষার এক পর্যায়ে মিতুর ফুপাতো ভাই নজরুলকে বাসা থেকে বের হতে দেখে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওইদিনই তিনি কচুক্ষেত বাজার থেকে চাকু কেনেন।
গত ১৮ এপ্রিল রোজিনার বাসায় গিয়ে দরজা নক করলে তার মেয়ে দরজা খুলে দেন। তখন মিতু বাথরুমে থাকায় শাকিল ওই দরজায় নক করেন। বাথরুমের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শাকিল ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। ভেতরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে তিনি মিতুর গলায় আঘাত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এসজেএ/আরআর/এএ