বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা তরুণীরা হলেন- কাকলি খাতুন, স্বপ্না আক্তার, সিমা বেগম, দুলি আক্তার, বিনা খাতুন, মারিয়া বেগম, শাহিনুর বেগম, আকলিমা বেগম, আদুরি খাতুন, মনিরা খাতুন, হাজিরা খাতুন, রেখা শেখ, হাজিরা আক্তার, সম্পা খাতুন, রুপালি খাতুন, হোসনে আরা খাতুন, শাপলা বেগম, কুলছুম খাতুন ও শারমীন।
এদের বাড়ি খুলনা, বাগেরহাট বরিশাল, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ফেরত আসা তরুণীদের ১৮ জনকে ঢাকা আহছানিয়া মিশন এবং একজনকে রাইটস যশোর নামে এনজিও সংস্থা নিয়েছে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ভালো কাজের কথা বলে দালালরা তাদের সীমান্তপথে ভারতে নিয়ে যায়। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের মুম্বাই শহর থেকে পুলিশ তাদের আটক করে জেলে পাঠায়। সেখান থেকে মুম্বাইয়ের রেজকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে আশ্রয়ে রাখে। পরে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তারা ফেরত এসেছে।
রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা বজলুর রহমান জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব তরুণীকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এসময় তাদের কেউ যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চায় তাহলে আইনি সহয়তা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এএটি/এএ