বুধবার (১৭ মে) দুপুর দেড়টার দিকে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগ যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের খাদ্য ভাণ্ডারে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। যদি মজুদ নাই থাকতো, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকারের মজুদ থেকে ত্রাণ সমগ্রী দেওয়া হচ্ছে কীভাবে? আসলে সরকারের বিরুদ্ধে যারা বড় বড় কথা বলেন তারা তো মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন না।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, সারাদেশে বোরো মৌসুমে এক কোটি ৯১ লাখ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়। তার মধ্যে ছয় লাখ মেট্রিকটন উৎপাদন হয় হাওর অঞ্চলে। এবার হাওর অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছয় লাখ মেট্রিকটন এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে বোরো আবাদে আরো ছয় লাখ মেট্রিকটনসহ মোট ১২ লাখ মেট্রিকটন ধান কম উৎপাদন হবে। ১২ লাখ মেট্রিকটন ধান নষ্ট হওয়ার ফলে দেশে গজব নেমে আসবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, এক সময় চাল আমদানিতে শুল্ক ছিল না। সেটির সুযোগ নিয়েছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। সেটির সুযোগ নিয়ে তারা ভারতের চালে বাজার সয়লাব করেছিলেন। এ কারণে সেটি প্রত্যাহার না করেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করা হবে। এজন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক বদরুল হাসান, রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবীর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন অভি প্রমুখ। এসময় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় শেষে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেখানে জেলার ২৫ জন মিল মালিকের সঙ্গে জেলা খাদ্য বিভাগের চাল সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন অভি বাংলানিউজকে জানান, এবার নীলফামারী জেলায় ১৫ হাজার ৯১৫ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৫ জন মিল মালিক চাল সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
আরবি/এমজেএফ