বুধবার (১৭ মে) রাত পৌনে নয়টায় তাকে মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন। এ নিয়ে মামলার ৫ আসামির সবাই গ্রেফতার হলেন।
ধর্ষণের ঘটনায় গত ০৬ মে এক তরুণী মামলা করার পাঁচদিন পর গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে সিলেট থেকে প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার (১২ মে) থেকে সাফাতকে ৬ দিন ও সাদমানকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগ।
গত সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর নবাবপুরের ইব্রাহিম আবাসিক হোটেল থেকে মামলার ৪ নম্বর আসামি সাফাতের ড্রাইভার বিল্লালকে গ্রেফতার করে র্যাব -১০। রাত ৮টার দিকে গুলশান-১ থেকে মামলার ৫ নম্বর আসামি সাফাতের দেহরক্ষী রহমত ওরফে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১৫ মে) থেকে বিল্লালকে ৪ দিন ও রহমতকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগ।
বনানীর বিলাসবহুল রেইন-ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় মামলা হয়। মাসখানেক আগের ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি সাফাত ও নাঈম ওই দুই তরুণীর বন্ধু। জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত দিয়ে হোটেলে নেওয়ার পর সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর দুই তরুণীকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। অন্য তিন আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ আনা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুননাহার ইয়াসমিনের কাছে জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
পিএম/এএসআর