দার্শনিক ইমারসন থেকে উদ্ধৃত্ত করে রাষ্ট্রপতি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শিশুর ব্যক্তিত্বের প্রতি বিশ্বাসী হোন। তার ওপর মাত্রাতিরিক্ত অভিভাবকত্ব করবেন না।
রাষ্ট্রপতি শিশুদের অহেতুক প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে না দিতেও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিবন্ধীসহ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতি বন্ধুসুলভ আচরণ করতে শিশুদের পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। শিশুদের প্রতিভা বিকাশে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে ও শিশুবান্ধব নতুন নতুন কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে আসতে সরকারি-বেসরকারি মহলের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
সারা দেশ থেকে আসা বিজয়ী শিশুদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তোমরা এখন থেকেই সত্যকে সত্য আর মিথ্যা বলার চর্চা করবে। ন্যায় অন্যায় ও ভালো মন্দের পার্থক্য বুঝতে শিখবে। নিজেরা কখনো অন্যায় করবে না, অন্যরাও যাতে অন্যায় করতে না পারে সে চেষ্টা করবে। তাহলেই জীবনে তোমরা সফল হবে। ’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন সর্বক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা। মনে রেখ, জয় আছে, পরাজয় নেই। পরাজয় নতুন স্বপ্ন দেখায়। সবই আছে তোমাদের। সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে তোমাদের বড় মানুষ হয়ে ওঠতে হবে, ভেতরের আকাংখার রূপায়নই বিজয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজির লিটন। বিশেষ অতিথি হিসেবে শিশুদের প্রতি পরামর্শমুলক বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, ও সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি।
এবারের জাতীয় প্রতিযোগিতায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩২৯ শিশু অংশ নেয় এবং ২১২ শিশু বিজয়ী হয়। সংগীত, নৃত্য, ক্রীড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয়ী শিশুরা রাষ্ট্রপতি ও প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শেষভাগে রাষ্ট্রপতি শিশুদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ সময় ২২৫৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এমআই/এমএমকে