দেশের স্বনামধন্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এবিএম আব্দুল্লাহসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মোট নয়জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রুহুল আমিন সাগর বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নয় আসামির মধ্যে ডা. এম এ কাশেম আটক রয়েছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুল চিকিৎসায় চৈতী নামে ওই ছাত্রী মারা যায় বলে অভিযোগ করা হয়। চৈতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে।
ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।
সে সময় ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হন চৈতী। ক্যান্সার হয়েছে এমন কথা জানিয়ে চৈতিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার জানানো হয় তার ডেঙ্গু হয়েছে। পরে শিক্ষার্থীটি মারা গেলে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ আনা হয়।
যোগাযোগ করা হলে সেন্ট্রাল হাসপাতাল প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে এমন অভিযোগ সত্য নয়। রোগী মারা যাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা হাসপাতালের চিকিৎসায় কোন ধরনের ত্রুটি বা গাফিলতি ছিল না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই রোগী দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক প্রফেসর এ বি এম আব্দুল্লাহে তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রফেসর। ওনার সুনাম সম্পর্কে দেশবাসী অবগত আছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
পিএম/এমএমকে