বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দিনগত রাত দুইটার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া-চাটখিল সীমান্তবর্তী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। এর আগে সকালে বন্দুক, গুলি ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করে পুলিশ।
নিহত রাসেল পাশের জেলা নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার চয়ানী টকবা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন জানান, আটক রাসেলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে রাতে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এসময় তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে রাসেল তার সহযোগীদের গুলিতে মৃত্যু বরণ করেন। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি দেশি বন্দুক ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রাসেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ডাকাতিসহ ২০টি মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার উত্তর জয়পুর গ্রামের কবিরাজ বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে একটি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও ১১ পিস ইয়াবাসহ মো. রাসেল ওরফে কালা রাসেল ও মো. বাবলু নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আটক বাবলু জয়পুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এসআই