শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর কাওরানবাজার, খিলগাঁও বাজার ও নতুনবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
কাওরানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা ৪০, ঝিঙে ৬০, টমেটো ৪০, ঢেঁড়স ৬০, বেগুন ৫০ থেকে ৫৫, কাকরোল ৬০, বরবটি ৫০, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০, করলা ৬০, আলু ২০, পটল ৪৫ থেকে ৫০, পেঁপে ২০ থেকে ৩০, গাজর ৪০ থেকে ৪৫, কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ৮০, মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ২০, লাউ ৪০-৬০ ও জালি কুমড়া ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০, ভারতীয় রসুন ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ২৪ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে ১৭ টাকা আর খুচরা বাজারে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আদার দাম গত সপ্তাহের মতো ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
কথা হয় কাওরানবাজারে সবজি কিনতে আসা মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রোজার আগেই সব সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহেও কাকরোল ছিলো ৫০, পটল ৪০, আর পেঁপে ছিলো ১৫ থেকে ২০ টাকা সেখানে এ সপ্তাহে ৩০ টাকা। আর প্রতিবছরই রোজার আগে দাম বাড়বে এটা নতুন কী। সরকারের বাজারের দিকে একটু নজর দেওয়া উচিত। এভাবে যদি প্রতিনিয়ত দাম বেড়েই যায় তাহলে আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়।
সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে সবজি বিক্রেতা হোসেন আজিজ বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে সবজি কম আসছে। এজন্য দাম বেড়ে গেছে। আর সবজি যদি বাজারে না আসে তাহলে তো দাম বাড়বেই। আমরা কম কিনলে কম দামে বিক্রি করি আর বেশি দামে কিনলে দাম বেশি হবেই।
গত সপ্তাহের মতোই দেশি মসুর ডাল ১১০, ভারতীয় মসুর ডাল ৭৫ থেকে ৯০ ও মুগ ডাল ১৩০ টাকা। মান ভেদে ছোলার দাম পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা চিনি পাইকারি বাজারে ৫৫ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোরাল মাছ কেজি প্রতি ৬০০, বড় চিংড়ি ৮০০, ছোট চিংড়ি ৬০০, বড় তেলাপিয়া ১৫০, ছোট তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১২০, রুই ২৪০, পাঙ্গাস ১৩০, কাতলা ৩৫০ ও কই মাছ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে চালের দাম গত সপ্তাহের মতোই। চিনিগুড়া চাল ৭৫ তকে ৮০, নাজিরশাইল ৫৪, মিনিকেট ৫২, বিআর-২৮ ৪৮, মোটা চাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। বয়লার মুরগি ১৬০ টাকা পাকিস্তানি মুরগি আকার ভেদে ১৩০ থেকে ২০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এসজে/এসএনএস