কোনো ধরনের বিদ্যুতের ব্যবহার ছাড়াই এসব উপজেলায় ফসল উৎপাদিত হবে।
ডিএই সূত্র জানায়, দেশের অধিকাংশ কৃষকই পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে চাষাবাদ করছেন।
আধুনিক পানি ব্যবস্থাপনার এ পদ্ধতিতে সেচ ব্যবস্থাপনা ৫০ শতাংশ বাড়বে। ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ও ভূ-উপরিভাগের পানির ব্যবহার বাড়িয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা হবে। সেচ কাজে সৌরশক্তির ব্যবহারে ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে। সেচ পানির প্রাপ্যতা ৩০ শতাংশ বেড়ে সেচের খরচ কমে আসবে ২৫ শতাংশ।
এসব বিষয়ে কৃষকদের জ্ঞান বাড়িয়ে ফসলের উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছে ডিএই।
চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে সাতটি বিভাগের ৪০টি জেলার ১০০টি উপজেলায় এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিভাগের ঢাকা, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার ২৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার ১০টি, সিলেট বিভাগের সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার ১৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২টি, খুলনা বিভাগের ১১টি, বরিশাল বিভাগের ১৩টি, রাজশাহী বিভাগের ৭টি এবং রংপুর বিভাগের ৫টি।
প্রাথমিকভাবে ১০০টি সোলার সেচ, ৬০০টি বারিড পাইপ সেচ, ১০০টি স্প্রিংকলার সেচ, ৭০০টি ড্রিপ সেচ, ৭০০টি হ্যান্ড শাওয়ার ও ৭০০টি হোস পাইপ স্থাপিত হবে প্রকল্পের আওতায়। ১০০টি পাতকূয়াও (Dug-Well) খনন করা হবে।
এর পাশাপাশি সেচ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের জন্য ৫০০টি কৃষক মাঠ স্কুল, ৫০০ ব্যাচ কৃষক (সেচ দল), ২০ ব্যাচ মেকানিক ও ১০ ব্যাচ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেচ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিদর্শনে ১০ ব্যাচ কর্মকর্তা ও ৫০ ব্যাচ কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণের ব্যবস্থাও থাকছে। এক হাজারটি মাঠ দিবসেরও আয়োজন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় কৃষক মাঠ স্কুলের সদস্যদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে সেচ সংগ্রহের মাধ্যমে সেচ প্রযুক্তিগুলো চলমান রাখা এবং টেকসই করে তোলা হবে। এজন্য ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেচ প্রযুক্তি নির্ভর কিছু সরঞ্জাম কেনা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) কৃষিবিদ মো. গোলাম মারুফ বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে কৃষি কাজ সম্প্রসারণের চিন্তা-ভাবনা চলছে অনেক আগে থেকেই। পাইলট প্রকল্প হিসেবে ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এসব উদ্যোগে সফলতার পর এবার প্রাথমিকভাবে সৌর শক্তি ব্যবহার করে ১০০টি উপজেলায় ফসল উৎপাদন করবো। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে শতভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবো বলে আশা করছি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর