তবে পাঠক ও বইয়ের সঙ্গে বাড়েনি পাঠকক্ষ। নেই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সেবা।
১৯৮৪ সালের ১৮ জুন প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্মীপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের রামগতি বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত।
লাইব্রেরিটি সপ্তাহের ৫ দিন শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বই বাড়িতে নিয়ে পড়ার সুযোগও রয়েছে।
গ্রন্থাগারে একটি ইংরেজিসহ প্রতিদিন ১২টি দৈনিক এবং বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিক পত্রিকা রাখা হয়। লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত সকল পত্রিকা ও ম্যাগাজিনও আসে এখানে।
পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি ও গ্রন্থাগারের প্রতি আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে রচনা, হাতের সুন্দর লেখা ও বই পড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং বেসরকারি গণগ্রন্থাগার নিবন্ধন করা হয়।
সরেজমিনে গেলে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মেহরাব হাসান, আকছিরুল হাসান ও আবির হোসেন জানায়, গল্প ও বিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়তে তাদের ভালো লাগে। তাই সময় করে বই পড়তে আসে তারা।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক কবি খালেদ মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই আমি গণগ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক। বিশাল এই জ্ঞানভাণ্ডার থেকে অর্জন অনেক। এখন লাইব্রেরিটিতে প্রয়োজন গবেষণাকক্ষ এবং শিশু ও প্রবীণদের জন্য আলাদা কর্নার’।
গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার জানান, গত কয়েক বছরে পাঠক সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার পাঠক পড়তে আসেন। সে তুলনায় এখানে পর্যাপ্ত পাঠকক্ষ ও জনবল নেই। ভবনটিকে দোতলায় উন্নীত করে পাঠকক্ষ বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এএসআর