গত কয়েদিন আগে স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি ওই এলাকায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সড়কবাতির সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এর ফলে দিনের বেলা যেমন শিশু থেকে যুবক বয়সের খেলোয়াড়রা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন, তেমনি রাতের বেলা ভুতুড়ে অন্ধকারে বহিরাগতদের উৎপাত অনেকটাই বেড়ে গেছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব নুরুল আলম নুরু জানান, এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার পরই দেখতে পান, দীর্ঘদিনের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল জমে প্রায় ২১ লাখ টাকার মতো হয়েছে। বকেয়া বিলের কারণে গত সপ্তাহে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নামে থাকা সংযোগসহ স্টেডিয়ামের ভেতরে বিসিসি’র সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আগামী জুনে বকেয়া পরিশোধের জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যেতে পারে। তবে এখন বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সংযোগ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিগত সময়ে বিল পরিশোধের বিষয়ে যত্নবান হলে এমনটা হতো না বলে জানিয়ে স্টেডিয়ামে প্রাকটিস করতে আসা খেলোয়াররা জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে খেলার পর ড্রেসিংরুমে বসতে পারছেন না তারা। ফ্যান ছাড়া ড্রেসিংরুমের গরম আরও কষ্ট দেয়।
পাশাপাশি বিদ্যুতের অভাবে পানির পাম্প চলে না। ট্যাংকিতেও পানি ওঠে না। ফলে স্টেডিয়ামে খাওয়ার পানি থেকে টয়লেটে যাওয়ার পানির ব্যবস্থা হচ্ছে না। কক্ষগুলোর ভেতরে আলো স্বল্পতার কারণে দাফতরিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
আবার রাতের বেলা বিদ্যুৎ না থাকায় সড়কবাতিগুলো কাজ করে না। ফলে আউটডোর-ইনডোরসহ পুরো স্টেডিয়াম এলাকায় বিরাজ করে ভুতুড়ে অবস্থা।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) বরিশাল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলাম জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নামে নেওয়া বরিশাল স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগের অনুকূলে বকেয়া হয়েছে ২২ লাখ টাকার মতো।
তিনি আরও বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বিল পরিশোধ না করায় বারবার তাগাদা দেওয়া হতো। তাতে কোনো লাভ না হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের বকেয়া থাকায় সড়কবাতিগুলোর সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এমএস/এসএনএস