সেই ধারাবাহিকতায় এবার মেসার্স সালমা শিপিং করপোরেশন লিমিটেডের কীর্তনখোলা- ১০ নামে একটি লঞ্চে চলন্ত সিঁড়ি সংযোজনের কথা জানিয়েছেন মালিকপক্ষ।
নির্মাণ কাজ শেষে লঞ্চটি খুব দ্রুতই বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটে সংযুক্ত হবে।
লঞ্চটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, রুচিশীল ও আধুনিকায়নের মধ্য দিয়ে তিনতলা বিশিষ্ট এ লঞ্চটিতে মাস্টার ব্রিজ থাকবে চারতলায়।
দেশের সর্ববৃহৎ নৌ-যানের স্বীকৃতি পেতে এটির দৈর্ঘ্য তিনশো ফুটের ওপরেই থাকছে। ফলে এটি সর্বোচ্চ ২৫শ যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হবে। প্রথমবারের মতো দেশের আভ্যন্তরীণ রুটের কোনো লঞ্চে চলন্ত সিঁড়ি যুক্ত হওয়ায় বয়োজ্যেষ্ঠরা কোনো কষ্ট ছাড়ায় উপরের তলাগুলোতে উঠতে পারবেন। জানা গেছে, লঞ্চ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিচতলার ডেকের নিচে দুই পার্টের লোয়ার ডেক তৈরি করা হয়েছে। যেনো লঞ্চের তলার এক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্য অংশ প্রটেকটিভ কাজ করে। গতির দিক মাথায় রেখে জাপান থেকে আমদানি করা ইঞ্জিনের প্রতিটিতে রয়েছে তিন হাজার ৩শ হর্স পাওয়ার শক্তি।
দু’টো ইঞ্জিনে দু’টো প্রপেলর। পাশাপাশি লঞ্চটি ম্যানুয়াল, হাইড্রোলিক ও ইলেক্ট্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত করা যাবে। আধুনিক ইকোসাউন্ডার, রাডার, ফগ লাইটও ব্যবহার করা হবে।
আগামী ঈদ-উল-আজহাকে টার্গেট করে নির্মিত লঞ্চটির পুরোটাই থাকবে ফ্রি ওয়াইফাই জোনের আওতায়। পাশাপাশি স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ও ইন্টারকম ব্যবস্থা থাকছে। ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত এ জাহাজে সর্বাধুনিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার করা হবে। থাকবে, পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, বয়াসহ নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন সরঞ্জামও।
দু’জন চিকিৎসক ও একজন সেবকের নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে নৌ-যানের ভেতরে থাকা সিসিইউ ইউনিটটি। বিলাসবহুল যাত্রীসেবায় রুচিশীল খাবার ও সেবার মান বজায় রাখতে নৌ-যানটিতে তিনটি ফুডকোর্ট থাকবে। লঞ্চের দ্বিতীয়-তৃতীয় তলার সামনে রাখা হবে শিশুদের জন্য বেবিজোন।
সিঙ্গেল বেডের ১শটি, ডাবল বেডের ৮০টিসহ ২০৮ কেবিন ও তৃতীয় শ্রেণীর দু’টি ডেকের জন্য লঞ্চে মোট ৩২টি বাথরুম থাকবে। এর মধ্যে ২০টি হাই কমোড, বাকি ১০টি সাধারণ।
প্রথম শ্রেণী, বিজনেস ক্লাস ও ভিআইপি’র জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকবে কক্ষগুলোতে। পাশাপাশি লঞ্চের ডেকরেশন ও লাইটিং ব্যবস্থার জন্য ভিয়েতনাম, ব্যাংকক এবং থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা ফিটিংস ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কীর্তনখোলা লঞ্চের স্বত্ত্বাধিকারী মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকবে। পাশাপাশি যাত্রীদের সেবার জন্য ৯০ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এমএস/এএটি/এসএনএস