পৌরসভাটি নয় জন নির্বাচিত কাউন্সিলর, তিন জন সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর ও এক জন মেয়র নিয়ে গঠিত। ১৭ দশমিক ৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এ পৌরসভায় ৩০ হাজার ৯৯৬ জন ভোটার এবং ৭০ হাজার মানুষের বাস।
এ পৌর এলাকায় দু’টি সরকারি কলেজ, একটি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, একটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন। নতুন মেয়রের যোগদান উপলক্ষে পৌরসভাটি সাজানো হচ্ছে নতুন রূপে।
এ বিষয়ে পৌরসভার কাউন্সিলর আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, আরো বেশি উন্নয়নের জন্য জনগণ ভোট দিয়ে নতুন পরিষদ গঠন করেছে। যা আগামী দিনে পৌরসভার উন্নয়নের কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
পৌরসভার সচিব তফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ২৩ মে নতুন মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সমাপ্তের পর যে সময়টুকু আমরা পেয়েছি সে সময়ের মধ্যে পৌরসভাকে আরও সুন্দর ও মনোরম করার কাজ চলছে। নতুন আঙ্গিকে নব নির্বাচিত মেয়র ও পরিষদকে বরণ করা হবে।
সদ্য নির্বাচিত পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বাংলানিউজকে বলেন, পূর্বের মেয়র সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেননি। এর ফলে পৌরসভার উন্নয়ন ব্যহত হয়েছে। এজন্য জনগণ আমাকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আমি এই পৌরসভাকে আধুনিক ও মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, পূর্বের মেয়র গড় পুকুর নামের একটি ঐতিহ্যবাহী পুকুরকে মৎস্য চাষীদের ইজারা দিয়েছিল। আমি সেখানে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলবো।
তিনি আরো বলেন, ৪২ বছর পর এই পৌরসভায় প্রথম কোনো আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই সরকারের আমালে পৌরসভাটির ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এনটি/জিপি/জেডএম