শনিবার (২০ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিবির যুগ্ম-কমিশনার আবদুল বাতেন।
এর আগে শুক্রবার (১৯ মে) রাতে রাজধানীর বনশ্রী ও শেরাটন হোটেলের সামনে অভিযান চালিয়ে ডিবির ১৬ জন ভুয়া সদস্যকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তিনি বলেন, রমজানকে সামনে রেখে ছিনতাই-চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপি সজাগ রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অভিযান চালানো হয়। আটক সদস্যরা ডিবি পরিচয় দিয়ে কাউকে আটকে রেখে সর্বস্ব লুটে নেয়। আর বিভিন্ন স্থানে অর্থ লেনদেনের জন্য তাদের সোর্স কাজ করে।
বেশি টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার বলেন, পুলিশের মানি স্কট টিম সবসময় প্রস্তুত থাকে। সহায়তা চাইলে পুলিশ তাদেরকে সহায়তা করবে।
যুগ্ম-কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, খোলা বাজার থেকে বিভিন্ন হাত বদল হয়ে ডিবির ব্যবহৃত সরঞ্জাম সংগ্রহ করে থাকে প্রতারক চক্র। সেসব দোকানগুলোতে পুলিশের নজরদারি ছিল, আরও বাড়ানো হবে।
যারা প্রকৃত ডিবি পুলিশ তারা আইনগতভাবে অভিযান চালায়, এক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।
আটক ডিবির ভুয়া সদস্যরা হলেন- জুয়েল রানা, ইয়াসিন, বাদল, মোমেন আলী, শহিদুল ইসলাম, ফিরোজ, সৈয়দ মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ আলী, সবুজ, লিটন খান, বাবলু মিয়া ওরফে আকাশ, মনির হোসেন-১, ছাইদুর রহমান, মনির হোসেন-২, মাহমুদুল হাসান ওরফে মুন্না এবং আফজাল হোসেন ওরফে শাহীন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দু’টি খেলনা পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি, দু’টি চাপাতি, চারটি ছুরি, দু’টি ওয়াকিটকি, ডিবি পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি জ্যাকেট, দু’টি হ্যান্ডকাপ, দু’টি বেতের লাঠি, একটি ব্যাগ ও দু’টি স্টিকার জব্দ করা হয়।
তাদের ব্যবহৃত দু’টি কার ও দু’টি মাইক্রোবাস, এক জোড়া হাতকড়া, ১৭টি অব্যবহৃত প্রিপেইড মোবাইল সিম, সাতটি মোবাইল ফোন, একটি কাঠের লাঠি, একটি স্টিলের লাঠি, একটি বেতের লাঠি, এক জোড়া বুট, তিনটি পেনড্রাইভ, একটি কার্ড রিডার, একটি স্টিলের নেমপ্লেট (যার মধ্যে লেখা ঢাকা মেট্রো-ল ১৯-২৭২৫) ও পুলিশের মনোগ্রাম সম্বলিত আইডি কার্ডের কভারও জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
পিএম/জিপি/জেডএস
** ডিবির জালে আটক ১৬ ভুয়া ডিবি সদস্য