সবে দশম শ্রেণিতে উঠেছে রত্না, আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা দিবে। এরই মধ্যে বরপক্ষের প্রলোভনে তড়িঘড়ি করে বিয়ের আয়োজন করে পরিবার।
তবে চোখের সামনে রত্নার জীবন ঝরে যাবে এটা মেনে নিতে পারেনি তার এক সহপাঠী, সে বিষয়টি জানিয়ে দেয় অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) মনদীপ ঘরাইকে।
ওই সহপাঠি জানায়, তার বান্ধবীর (রত্না খাতুন) ভালোভাবে পড়াশুনা করে বড় হওয়ার স্বপ্নের গল্পগুলো। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনও মনদীপ ঘরাই পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির, এ সময় অনেকেই পালিয়ে যায়।
বাল্যবিয়ে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে কনের বাবা-মা এবং বর খুলনার ফুলতলা উপজেলার মসিয়ালি গ্রামের চঞ্চল মাহমুদসহ তার অভিভাবকরা মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পায়। পরে মেয়েকে স্থানীয় চলিশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়।
অভয়নগর ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত মনদীপ ঘরাই বাংলানিউজকে বলেন, ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রত্যেক মা-বাবার উচিত বাল্যবিয়ে বর্জন করা। তিনি আরও বলেন, রত্নার সহপাঠীর ফোনের কারণেই এ বিয়ে বন্ধ করা গেলো, ফলে অন্যদেরও বাল্য বিয়ের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
ইউজি/আরএ