ঘটনাটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মাওয়া হয়ে রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম পথ বাবুবাজার ব্রিজে।
এটি বুড়িগঙ্গার দ্বিতীয় সেতু।
চিত্রটি ব্রিজটির মাঝ অংশে; যেখানে ইসলামপুর, চকবাজার, মিটফোর্ড হাসপাতালের পথচারীদের জন্য ব্রিজে ওঠার জন্য দু’টি সিঁড়ি করে দেওয়া হয়েছে। এই সিঁড়ি দিয়ে ওঠার জায়গাতেই বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানো, উল্টো পথে আসা সিএনজিচালিত অটো রিকশার লাইন, পথ পারাপারে ভাঙা ডিভাইডারে পথচারীদের হুড়োহুড়ি, ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকা— এরকম আরও অনেক কারণ।
এসব কারণে র্দীর্ঘদিন ধরে বাবুবাজার ব্রিজে ওঠা-নামার জায়গায় জ্যাম লেগেই থাকে। এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। তবে এলাকাবাসী মনে করে, এই এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ, চালক ও পুলিশের অবহেলা।
কারণ, ব্রিজের এই পয়েন্টে নেই কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থা। ব্রিজের ডিভাইডারের ভাঙা অংশ গলে কদমতলি থেকে আসা অটোরিকশা বাবু বাজারের দিকে চলে আসে রং-সাইটে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার রাজত্বে যেনো উল্টো পথে চলাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশা চালক জানান, এভাবে উল্টো পথে না এলে, ব্রিজের শেষ মাথায় যেখানে ডিভাইডার শেষ, সেখান থেকে ঘুরে আসতে হবে তাদের। তাতে কম করে হলেও আধঘণ্টার ভোগান্তি। আর সিঁড়ির এই গোড়াতেই যাত্রী বেশি পাওয়া যায়।
কবির নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সবসময় থাকে না, ফলে চালকরা নিয়ম না মেনে গাড়ি চালান। কোনো কোনো সময় এমনও হয়, জ্যামের কারণে হাঁটার রাস্তা থাকে না। এসবের যেনো দেখার কেউ নেই!
এ সম্পর্কে পথচারী নীলিমা আক্তার বলেন, বাবুবাজারের এই জ্যামের কারণে বাচ্চাদের সঠিক সময়ে স্কুলে নিয়ে যেতে পারি না। হেঁটে যে আসবো, তখন রাস্তা পার হওয়া আরও দুঃসহ। যেভাবে চলছে তাতে মনে হচ্ছে এখানে সব অনিয়মই নিয়ম!
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
এসএনএস