বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার একাংশের সহ সভাপতি মাঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক, শাহজাহান পিসি প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৯৮৩-৮৪ সালে দীঘিনালার সোনামিয়া টিলায় খাস জমিতে ৮১২ পরিবারকে ৫ একর করে ৪০৬০ একর জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। পরবর্তিতে পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্বাসিত ওই সব পরিবারকে নিরাপত্তার অজুহাতে গুচ্ছগ্রামে আনা হয়। এরপর পাহাড়িরা পরিকল্পিতভাবে ওই ভূমিকে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা করে।
পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে একটি স্বারকলিপি দেওয়া হয়।
দাবিগুলো হলো- স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোকে স্ব-স্ব ভিটায় পুনর্বাসন করা, ভিটেমাটিতে বসবাস করতে নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা, মন্দির, বিহারের নামে বেদখল হওয়া বাঙালিদের বন্দোবস্তকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়া, বাঙালিদের বন্দোবস্তকৃত জমিতে জেলা পরিষদের ও বিপন্ন সংস্থার নামে উন্নয়ন বরাদ্ধ বন্ধ করা ও সার্বিকভাবে বাঙালিদের সরকারের ঘোষিত সব সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা, দখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত দেওয়ার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
ওএইচ/এমজেএফ