সোমবার (২৯ মে) বেলা ৩টায় কথাগুলো বলেন মহানগরীর দেবেন বাবু রোডের (জিন্নাহ মসজিদের সামনে) শাহী জিলাপি কিনতে আসা আবু নুরাইন খন্দকার।
তিনি জানান, শহরের বিভিন্ন স্থানে হরেক রকমের জিলাপি তৈরি হয়।
তার মতো এই জিলাপির প্রশংসা করে হারুণ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সেলিমের শাহী জিলাপির একটি রাজকীয় ভাব রয়েছে। এটি খুলনার ঐতিহ্যবাহী একটি ইফতার। প্রতি বছরই ই জিলাপি কিনতে আসি।
ছোট জিলাপির পাশাপাশি প্রতিবছরের মতো এবারও বড় শাহী জিলাপি তৈরি করছে সেলিমের কারিগররা।
শখের বশে কেউ যদি বড় বানাতে চায় আগেভাগে অর্ডার দিলে সেটাও সম্ভব বলে জানান সেলিমের কারিগর আলতাফ হোসেন।
আলতাফ হোসেন জানান, ৪০ বছর ধরে এ দোকানে কাজ করছেন। প্রায় ৩৬ বছর ধরে তৈরি করছেন শাহী জিলাপি। খুলনার ভোজনরসিক রোজাদাররা একবাক্যে এ জিলাপি কেনেন।
মেসার্স সেলিম সুইটসের মালিকের ছেলে মাহির বাংলানিউজকে বলেন, তিন পুরুষ ধরে আমরা এখানে ব্যবসা করছি। ৩৬ বছর ধরে শাহী জিলাপি তৈরি করা হয়। প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত জিপালির একই মান ও স্বাদ রয়েছে। যার কারণে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
তিনি জানান, রেশমি, স্পেশাল শাহী, স্পেশাল ফ্যামিলি জিলাপি তৈরি করা হয় তাদের দোকানে। একটা স্পেশাল ফ্যমিলি জিলাপির আকার ১ কেজি থেকে দু’তিন কেজি পর্যন্ত হয়। যা পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাওয়া যায়।
দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ জিলাপি ৮০ টাকা। স্পেশাল শাহী জিলাপি ১২০ টাকা, স্পেশাল ফ্যামিলি দেড়শো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, ঐতিহ্যবাহী হিসেবে তাদের শাহী জিলাপির বিশেষ চাহিদা রয়েছে। স্বাদে অনন্য হওয়ায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খুলনা জুড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমআরএম/এএ