আটক ওই ভুয়া চিকিৎসকের নাম আবদুল করিম ওরফে জাহাঙ্গীর আলম (৫০)। তিনি নাটোর সদর উপজেলার দণিপুর এলাকার বাহাজ উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে।
রোববার (১ অক্টোবর) দিনগত রাতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রয়না চকপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
সম্প্রতি পুঠিয়ার ‘আল-মাহাদি ইসলামী হাসপাতাল’ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় অপারেশন থিয়েটারেই এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। মারা যায় গর্ভের সন্তানটিও। ওইদিন কৌশলে পালিয়ে গিয়েছিলেন ভুয়া চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম।
এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক ও ভুয়া চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমসহ চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন মৃত গৃহবধূর স্বামী। মামলার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া জানান, জাহাঙ্গীর আলম সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে ওষুধের দোকানে চাকরি নেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে রোগী দেখা শুরু করেন।
রোববার গভীর রাতে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির করে জাহাঙ্গীর আলমের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তবে শুনানি হয়নি। আদালতের নির্দেশে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুয়া চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান পুঠিয়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
এসএস/এএ