মেঘের গর্জন ছাড়াই সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজশাহীতে প্রতীক্ষার বৃষ্টি ঝরছে। ঝুম বৃষ্টিতে গাছের লতাপাতাগুলো যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
কখনও মুষলধারে আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে থামার নাম নেই। দুপুরে এক ঝলক সূর্যের মুখ দেখা গেলেও কালো মেঘের ভেলায় আবারও ঢেকে যায়। মেঘমেদুর আবহাওয়ায় আর টানা বর্ষণে খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এরই মধ্যে অনেকে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেকে। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে নগরীর নিম্নাঞ্চলে।
দিনভর টানা বৃষ্টিতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ভারী বর্ষণের কারণে অনেকটা ক্রেতাশূন্য মহানগরীর বিপণী বিতানগুলো। ফুটপাতের দোকানগুলো প্রায় বন্ধ। গ্রমাঞ্চলে চাতালগুলোতে ধান শুকানো যাচ্ছে না।
লাগাতার বর্ষণে সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীর প্রধান সড়কগুলোয় যানবাহন চলাচল কম লক্ষ্য করা গেছে। রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও যাত্রীদের কাছে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।
মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে রফিকুল ইসলাম নামে এক রিকশাযাত্রী বলেন, অন্য সময়ে জিরোপয়েন্ট থেকে উপশহর ভাড়া ২৫ টাকা। এখন বৃষ্টির কারণে ৩৫ টাকা চাচ্ছে। আবার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোও নির্ধারতি ভাড়ার চেয়ে বেশি নিচ্ছে। এরপরও যানবাহন না থাকায় বেশি ভাড়া দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। তারা ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকলেও কিছু করার থাকছে না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৮টা ৫০ মিনিট থেকে এ অঞ্চলে বর্ষণ শুরু হয়েছে। কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার), অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তার চেয়ে বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সময়টায় লাগাতার বর্ষণ স্বাভাবিক ঘটনা। আকাশে মেঘ থাকায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ২২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ২টায় দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
এসএস/এএ