বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে বিকেলে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলের মধ্যেই গ্রেফতার সাতজনকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, বুধবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি তার শ্বশুরবাড়ী বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে বেড়াতে যান। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে একটি ভ্যানে করে তারা স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় পুঠিয়ার বটতলা-কার্তিকপাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছালে জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের নবির উদ্দিন, মিজান আলীসহ অস্ত্রধারী ৭-৮ জন ব্যক্তি তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে। এরপর জোরপূর্বক তাদের ভ্যান থেকে নামিয়ে পাশের একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভ্যানচালককে হুমকি দিয়ে পাঠিয়ে দেয়।
পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করা হয়। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূর স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়। আর গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের পুকুরপাড়ে। এরপর রাত ১২টা পর্যন্ত ৭-৮ জন মিলে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। পরে অনেক অনুরোধের মুখে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর শর্তে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে রাতেই তারা পুঠিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে সকালে ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলের মধ্যেই আদালতে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নির্যাতিত নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/