ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

ম্যাকাও ছানাটি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছে

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১১
ম্যাকাও ছানাটি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছে

ঢাকা: বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো জন্ম নেয়া ম্যাকাও পাখির একটি ছানাকে চিকিৎসার জন্য রোববার দুপুরে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দুর্লভ প্রজাতির ৫৭ দিন বয়সী শিশুপাখিটিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট প্লিজেন্ট পশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।



পাখিটির স্বত্বাধিকারী পাখি-প্রজনন বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল ওদুদ শুক্রবার রাতে বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।

‘স্কারলেট ম্যাকাও‘ প্রজাতির এ পাখিটি একধরনের তোতা পাখি।

১৯৯৭ সালে পাখিটির মা-বাবাকে ব্রাজিল থেকে ঢাকায় আনার পর দীর্ঘ ১৪ বছরের গবেষণার পর দু’টি পাখির জন্ম হয়। অন্য ছানাটি সুস্থ আছে বলে জানান আব্দুল ওদুদ।    

বর্তমান বাজারে খাঁচায় জন্ম নেওয়া স্কারলেট ম্যাকাওয়ের দাম বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকার মতো।

বেলা ১২টায় দু’জন চিকিৎসকসহ পাখিটিতে নিয়ে সিঙ্গাপুর রওনা হবেন আব্দুল ওদুদ।

তিনি জানান, ‘তার বন্ধু ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন চিকিসক ও পশু হাসপাতালের আরেকজন চিকিৎসক তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন। ’

অদুদ বলেন, ‘শুক্রবার রাতের ফ্লাইটেই যাওয়ার কথা ছিল, তবে পাখিটি হঠাৎ আরও অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় যাত্রার সময় পেছানো হয়। ’

আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘গত বুধবার ছানাদু’টিকে খাবার খাওয়ানোর সময় একটির খাদ্য নালীতে খাবার আটকে যায় এবং কিছু সময় পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ’

এরপর পাখিটিতে কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। পশু হাসপাতালের প্রধান পশু কর্মকর্তা ডা. কাজী মজিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ৮ সদস্যর একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পাখিটির চিকিৎসা চলে।

ছানাটির ফুসফুসে খাবার ঢুকে পড়ায় ছানাটির শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে।    

ওদুদ জানান, তবে পাখিটির অবস্থা আগের চেয়েও খারাপ হওয়ায় বৃহস্পতিবারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট প্লিজেন্ট অ্যানিমেল হাসপাতালে নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘খাদ্য নালীতে আটকে থাকা খাবার বের করে আনার প্রযুক্তি বাংলাদেশে না থাকায় এদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ’

আব্দুল ওদুদ রাজধানীর হাতিরপুলে নিজ বাড়িতে মাঝারি আকারের একটি পাখির চিড়িয়াখানা পরিচালনা করছেন।

ম্যাকাও অত্যন্ত বিপন্ন পাখির তালিকাভুক্ত। অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ায় খাঁচায় পোষা পাখি হিসেবে ফ্রান্স,  বেলজিয়াম ও যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাকাও নিয়ে গবেষণা চলছে এবং সফলভাবে এসব দেশে খাঁচায় ডিম ও বাচ্চা  ফোটানো সম্ভব হয়েছে।  

মূলত অ্যামাজন অঞ্চলের এ ম্যাকাও পাখি সাধারণত ৩৫ থেকে ৬০ বছর বাঁচে।
 
 লালন-পালনকারীর সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সাথে যোগাযোগ করার সামর্থ্য এ পাখির রয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত কৌশল প্রয়োগ করতে পারে। অনেক ম্যাকাও পাখি শুধু পোষা পাখি হিসেবেই নয়, প্রদর্শনী পাখি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।