মৃত দুই ব্যক্তি হলেন ওই গ্রামের মৃত তোফিজুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (৩৮) ও ইউসুফ আলীর ছেলে তোহিজুল ইসলাম (২৫)।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যু হয়।
গোদাগাড়ী থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বাংলানিউজকে জানান, ওই গ্রামের আট ব্যক্তি রাজশাহীর সপুরায় ‘টিম’ নামে একটি ওষুধের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তারা কারখানায় কাজ করার সময় একটি ড্রামে থাকা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে রুটি খান। মুখে স্বাদ লাগায় একজন ওই পদার্থ একটি বোতলে ভরে গ্রামে নিয়ে আসেন।
এরপর বুধবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ওই ব্যক্তিসহ তার চার বন্ধু মিলে কোমলপানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে রাসায়নিক পদার্থ পান করেন। রাতেই তারা একে একে পাঁচজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকীরা চিকিৎসাধীন।
গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাসায়নিক পদার্থ পান করে আটজন অসুস্থ হলে রামেক হাসপাতালে ভর্তি। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে তিনি চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামে গেছেন। সেখান থেকে তিনি একটি বোতল জব্দ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গন্ধ শুকে তার কাছে মনে হয়েছে, ওই বোতলে ‘রেকটিফায়েড স্পিরিট’ ছিলো।
তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন গোদাগাড়ীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি।
তিনি বলেন, রাসায়নিক পদার্থ লালি গুড়ের মতো। গুড় ভেবেই তারা সেটি কারখানায় রুটির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েছিলেন। তবে গ্রামে নেওয়ার পর তা আবার কোমলপানীয়র সঙ্গে মিশিয়েও খেয়েছেন। ওই রাসায়নিক পদার্থ আসলে কি? তা তারা ওষুধের কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন। এছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে দুই ব্যক্তির মরদেহ ময়না তদন্ত করা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এসএস/এএটি