শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্রয়োজন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান তথা পরিবারকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সব জেলা-উপজেলায় বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। সারাদেশের সব বধ্যভূমিতে একই রকম স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনে করা হবে। যাতে মানুষ দেখে সহজে চিনতে ও বুঝতে পারে।
এছাড়া পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযোদ্ধাদের গর্বিত সাফল্যের কথার পাশাপাশি চিহ্নিত রাজাকারদের কুর্কীতির কথাও থাকবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য ও ধারণা পাবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- দিনাজপুর -৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাকিম ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা নেতারা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় এক কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। পরে মন্ত্রী একই জেলার হাকিমপুর ও বীরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনও উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
জিপি