বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান থেকে চলিত বছরে প্রায় সাতটি এবং ২০১০-২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০টি সাইকেল চুরি হওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে ২০১৬ সালেই চুরি হয়েছে আটটি সাইকেল।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয় ডিন অফিস ও করিডোর, ভেটেরিনারি অনুষদীয় করিডোর, গ্যারেজ ও ডিন অফিস, পশুপালন অনুষদের ডিন অফিস থেকে সাইকেলগুলো চুরি হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, জব্বারের মোড়, কে.আর মার্কেট ও টিএসসি থেকেও সাইকেল চুরি হয়েছে।
কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান খান বাংলানিউজকে বলেন, এই মাসের ৮ তারিখে কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের সামনে থেকে আমার সাইকেল চুরি হয়। ডিন স্যার ও নিরাপত্তা শাখায় যোগাযোগ করেও এখনো আমার সাইকেল পাইনি। ডিন অফিসের সামনে ও করিডোরে সিসি ক্যামেরা না থাকায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ফাহিম আরো বলেন, ক্যাম্পাসের অনেক জায়গায় সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস অনুষদীয় গ্যালারিতে হয়ে থাকে। এ কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনুষদীয় করিডোরের পশ্চিম দিকে সাইকেল রাখেন। কিন্তু বারবার সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটলেও সেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। করা হয়নি সাইকেল গ্যারেজ করার কোনো ব্যবস্থা।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী গৌরব সাহা সাম্য বাংলানিউজকে বলেন, গত পাঁচ বছরে আমার দুইটা সাইকেল চুরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত একটি সাইকেলও ফেরত পাইনি।
পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী ইনতিসার আউয়াল প্রিয় বাংলানিউজকে বলেন, পশুপালন অনুষদীয় ডিন অফিসের নিচ থেকে আমার সাইকেল চুরি হয়। এলাকাটা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকলেও নিরাপত্তা শাখা কিছু করতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মী বলেন, যদি তালা ভেঙে কেউ সাইকেল চুরি করতো তাহলে আমরা চোরকে ধরতে পারতাম। কিন্তু চোরেরা চাবি ব্যবহার করে চুরি করায় আমরা সাইকেলের আসল মালিক ও চোরকে আলাদা করতে পারি না। এজন্য করিডোরে সাইকেল গ্যারেজের ব্যবস্থা করে টোকেন সিস্টেম চালু করলে সাইকেল চুরি রোধ সম্ভব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল নেই। তাছাড়া ক্যাম্পাসের অনেক জায়গায় সিসি ক্যামেরা না থাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান খোকন বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসে বর্তমানে ৫২টি সিসি ক্যামেরা চালু আছে। আরো নতুন ১৬টি ক্যামেরা বসানো হবে। ক্যম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে সরকারি আনসার নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এনটি