শুক্রবার (২০ অক্টোবর) টানা বৃষ্টিতে জরুরি কাজে বাইরে বের হয়েও রিকশা বা যানবাহন না পেয়ে বিরম্বনা পোহাচ্ছে শহরবাসী।
সকাল থেকে বিরামহীন বৃষ্টিতে বাগেরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্র সাধনার মোড়, রাহাতের মোড়, লোকাল বোর্ডঘাট, মেইনরোড, বাসাবাটি, রেলরোড, আলীয়া মাদ্রাসা রোড, খারদ্বার মোড়, ভিআইপি রোড, মিঠাপুকুরপাড়, সাহাপাড়া, দশানি শিল্পকলা একাডেমির সামনের সড়ক, বালিকা বিদ্যালয় সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
শুধু বাগেরহাট শহরে নয়, জেলার মোড়েলগঞ্জ ও মংলা পৌর শহরের রাস্তাগুলোও তলিয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে।
এছাড়া বাগেরহাটের নয়টি উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কচুয়া, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, মংলা ও রামপাল উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু মৎস্য ঘেরও ডুবে গেছে। এছাড়া আমন ধানের ক্ষেতগুলো আছে পানির নিচে। তবে এ পানি স্থায়ী না হলে আমন ধানের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে মংলা বন্দরে জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ ও মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার মো. ওয়ালিউল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। বর্তমানে সার, চাল, কন্টেইনার, এলপিজি গ্যাসসহ মোট ১০টি জাহাজ অবস্থান করছে বন্দরে। বৃষ্টির মধ্যে এসব জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ রয়েছে।
কচুয়া উপজেলার দিন মজুর আবুলন বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এভাবে বৃষ্টি হলে না খেয়ে মরতে হবে।
ষাটগুম্বুজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, তার ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার মাছের ঘের ভেসে গেছে ও সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে নষ্ট হওয়ার মত কোনো ফসল এখন মাঠে নেই। বরং এই বৃষ্টিতে রোপা আমনের মাঠের উপকার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
টিএ