শনিবার (২১ অক্টোবর) কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় থাইল্যান্ড-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এবং ইয়াং ম্যান্স বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও সংঘরাজ জ্যোতিপাল মহাথেরো ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা অনাথালয় উদ্বোধন এবং কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানে এসব কথা তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শান্তিময় আবাসস্থল এই বাংলাদেশ এবং বর্তমান সরকার এ সম্প্রীতি রক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক ধারা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শালবন বিহারের আঙ্গিনায় থাইল্যান্ডের স্থাপত্যকলা সমৃদ্ধ বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র থাইল্যান্ডের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিসহ দেশ-বিদেশের অতিথিদের উপস্থিতিতে এ প্যাগোডা উদ্বোধনের সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। ’
‘আশা করছি ধর্মীয় চেতনা জাগিয়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশে এটি অনন্য ভূমিকা রাখবে। এ বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা মহামানব গৌতম বুদ্ধের মৈত্রী ও করুণার বাণী ধারণ করে অসম্প্রদায়িক চেতনার উর্বর ক্ষেত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ’
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ পূজা ও সংঘদান, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ড দান, মঙ্গলাচরণ, বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
সন্ধ্যায় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে বিশ্বে শান্তি কামনায় ফানুস উড্ডয়ন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
সংঘরাজ জ্যোতিপাল মহাথেরো ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ শীলভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলাম, পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানে মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষুদেরকে ত্রি-চীবর নামে বিশেষ পোশাক দান করা হয়। ধর্মাবলম্বীরা পূণ্যের আশায় প্রতি বছর এভাবে চীবরসহ ভিক্ষুদের অন্যান্য সামগ্রীও দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
আরআইএস/