শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা কাঁকরার চরে ফিরোজ বাঘার মহিষের কিল্লা থেকে রাখাল ও গরু-মহিষ ভেসে যায়। এতে নিখোঁজ হন তিনজন রাখাল।
নিখোঁজ রাখালরা হলেন- পাটারিরহাট ইউনিয়নের আবদুর জাহের (৫০), চর ফলকন গ্রামের কালু পলোয়ানের ছেলে হান্নান (৩৫) একই গ্রামের দুলালের ছেলে মো. বাহার (২৫)।
কমলনগর মহিষ খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান স্বপন তিনজন রাখাল নিখোঁজ ও ৭শ’ গরু-মহিষ নিখোঁজের বিষয়টি জানান।
জানা গেছে, পাটারিরহাট ইউনিয়নের মো. ফিরোজ বাঘার ২শ’ মহিষ, ফলকন ইউনিয়নের শফিকুল ইসলামের ১শ’ মহিষ, গরু ২০টি। একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ১শ’টি মহিষ, নুর নবী বাঘার ১শ’টি মহিষ, দুলাল বাতানের ৫০টি মহিষ ও ৩৫টি গরু, জসিমের ১শ’টি মহিষ, শাহ আলমের ২৫টি মহিষ ও ৩টি গরু, সালাহ উদ্দিনের মহিষ ৫০টি, আলা উদ্দিনের ৩০টি মহিষ ও গরু ৫টি, জামাল উদ্দিনের ২০টি মহিষ, গরু ৫টি জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায়। এর পর থেকে গরু ও মহিষগুলো নিখোঁজ রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মহিষ মালিক ও চরে কিল্লা স্থাপনকারী মো. ফিরোজ বাঘা বলেন, জেগে ওঠা ওই চরে ৭ লাখ টাকায় নির্মিত কিল্লা ১০জন মালিক প্রায় ১ হাজার মহিষ ও দুইশতাধিক গরু লালন-পালন করে আসছেন। শুক্রবার গভীর রাতে জলোচ্ছ্বাসে কিল্লা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এসময় ৩ জন রাখাল ও প্রায় ৭শ’ গরু মহিষ ভেসে যায়। এর পর থেকে ওই ৩জন রাখাল নিখোঁজ রয়েছে।
পাটারিরহাট, ফলকন ও কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ের বাসিন্দারা জানান, জোয়ারের সঙ্গে বেশকিছু মহিষের মৃত বাচ্চা ও গরু ভেসে যেতে দেখা গেছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে কেউ এখনো থানায় কোনো অভিযোগ জানায় নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
ওএইচ/