শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে ট্রেন স্টেশনে দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষকে। টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়ে প্লাটফর্মে তিল ধারণের জায়গা নেই।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার ওহিদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের চেয়েও আজ খুলনা রেল স্টেশনে বেশি ভিড় হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি জানান, রাতে খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন ও সীমান্ত এক্সপ্রেসে সিট না পেয়েও হাজার হাজার মানুষ গন্তব্যে ছুটছেন।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মো. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের ভিড়ে স্টেশনে ঢুকতেই হিমশিম খেতে হয়েছে। এমন ভিড় আগে কখনও দেখিনি।
তিনি জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সড়ক পথের বিড়ম্বনা এড়াতে ট্রেনে যাত্রা করছেন।
রোববারের অগ্রিম টিকিট কিনতে এসে না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করে নিয়ামুল বারী হুজাইফা বলেন, শনিবার বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেও টিকিট পাইনি।
মহানগরীর রয়্যালের মোড়ের সেবা গ্রীন লাইন পরিবহনের কাউন্টারের ম্যানেজার লাভলু বাংলানিউজকে বলেন, রাত থেকে ফেরি চালু হলেও সড়কপথে প্রচণ্ড যানজট।
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, একে তো বৈরী আবহাওয়ায় ফেরি বন্ধ ছিলো, তারপর আবার দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা পরিবার নিয়ে যাতায়াত করায় ট্রেনে মাত্রাতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। টিকিটের জন্য এসে অনেকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে বগি সংযোজন করেও সংকুলান হচ্ছে না।
তিনি জানান, যানজট এড়াতে অনেকেই এখন ভ্রমণের জন্য রেলকে বেছে নিয়েছেন। ট্রেনে এখন ভালো ভালো আরামদায়ক আধুনিক বগি সংযুক্ত করায় মানুষ রেলের দিকে ঝুঁকছেন। এ জন্য ট্রেনে দিন দিন যাত্রীর চাপ বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এমআরএম/আরআই