শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তুরাগ হাউজিং রোডে করিমের রিকসার গ্যারেজ সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে ছাতা নিয়ে তর্কবিতর্কের জেরে শাহজাদাকে পিটিয়ে হত্যা করে চা দোকানি ও তার সহযোগীরা। ওই চা দোকানির নাম মো. আলামিন বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় শাহজাদাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য শনিবার রাতে মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।
নিহত কাজী শাহাজাদা (৩৫) বরিশালের আগৈলঝারা উপজেলার বেলুহার গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি তার পরিবার নিয়ে মোহাম্মদপুরের তুরাগ হাউজিং এর ১ নম্বর রোডের ঝরনা গলির মোশারফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় ও স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, শনিবার বৃষ্টিস্নাত দিনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চা খেতে ওই এলাকার আলামিনের দোকানে যান শাহাজাদা। এ সময় হঠাৎ প্রচণ্ড বাতাসে একটি ছাতা উড়ে রাস্তায় এসে পড়লে, শাহাজাদা দৌড়ে গিয়ে সেটি নিয়ে আসে। পরক্ষণেই ছাতার মালিক এসে ছাতাটি চাইলে ‘আল্লাহ ছাতা দিয়েছে, আপনাকে দিবে কেন?’ বলেই সৌজন্যতার সঙ্গেই ছাতাটি তাকে দিয়ে দেন শাহাজাদা।
এদিকে, ‘আল্লাহ ছাতা দিয়েছে’ শাহাজাদার বলা এই কথা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করেন চা দোকানি আলামিন। একপর্যায়ে চা দোকানি আলামিনসহ তার দুই ভাগিনা রুবেল ও আলমগীর মিলে শাহাজাদাকে কিল-ঘুষি দেয়। তাদের মারপিটে গুরুতর জখম হন শাহাজাদা।
মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব কোচ নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মৃত শাহাজাদা’র ডান কানের নিচে আঘাতের কালো ফোলা দাগ দেখা যায়। মাথার পেছনে বাম দিকে রক্তাক্ত আঘাতের গুরুতর জখম রয়েছে। মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখমের কারণে শাহাজাদা’র মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। ’
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বাংলানিউজকে বলেন, হাতাহাতির এক পর্যায়ে শাহাজাদা মাথায় আঘাত পান, স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেকে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এসজেএ/আরআই