জমির ধান গাছগুলো এখন ভরপুর যৌবনে। আর ক’দিন পরেই ডগার বুক চিরে বের হবে সবুজ কচি ধানের শীষ।
বন্যার ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি কৃষকেরা। তার ওপর আমনের মাঠ জুড়ে পোকার এই আক্রমণে হতাশ তারা।
পোকার আক্রমণে আমনের সবুজ গাছের ডগাগুলো পরিণত হচ্ছে খড়ে। এই রোগ থেকে ফসলি জমিকে রক্ষা করতে না পারলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা বালাইনাশক ব্যবহার করলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। পোকার আক্রমণে আমন চাষে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। বন্যার ক্ষতি তো দূরের কথা এবার আমন চাষে যে হারে খরচ হচ্ছে সঠিক দাম না পেলে অনেককেই পথে বসতে হবে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গরু, ছাগলসহ গৃহপালিত পশু বিক্রি করে আমন চাষ করেছেন। ফসলি জমিতে পোকার আক্রমণের কারণে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেক কৃষক।
দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার চকেরহাট এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, ধানের দানা বাধার এখন সঠিক সময়। কিন্তু এই সময়ে লিফ ফোল্ডার ও বিএলবি বা ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্রাইট রোগের আক্রমনে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে মাঠের ফসল। বর্তমানে আমনের সবুজ গাছ আগুনে পোড়ার মতো শুকিয়ে খড়ে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া অনেক জমিতে সবুজ থেকে হলুদ রংয়ে পরিণত হচ্ছে ধান গাছ। বালাইনাশক ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আমনের চাষ হচ্ছে। কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন। তবে খুব দ্রুত এই রোগ থেকে ফসলমুক্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৮ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১৭
আরআর