উঠতি আমন ধানের গাছ মাটিতে শুয়ে পড়ায় কৃষকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। এছাড়া শাক-সবজিরও ক্ষতি হয়েছে।
এই জনপদে আশ্বিন-কার্তিক এমনিতেই অভাবি মাস হিসেবে বিবেচিত। এ অবস্থায় বৈরী আবহাওয়া কর্মজীবী মানুষকে বেকায়দায় ফেলেছে। জেলায় প্রতিবছর আশ্বিন-কার্তিক মাসে কোনো কাজকর্ম থাকে না কৃষি শ্রমিকদের হাতে। ফলে নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলার প্রায় সাড়ে চার লাখ কৃষি শ্রমিক এসময় বেকার হয়ে পড়েন। আগে সংসার ও পরিবারের প্রয়োজনে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতি হাট-বাজারে বিক্রি করে চলতে হতো অনেককে। কেউ বা ধার দেনা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
তবে সরকারের নানামুখি পদক্ষেপের কারণে এই অবস্থা অনেকটাই বদলেছে।
গ্রামের মানুষ বয়স্ক ও বিধবারা ভাতার আওতায় এসেছে। অনেকে ভিজিডি, ভিজিএফ ও হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির কারণে ভালো আছেন। তবে বড় একটি অংশ এসব কর্মসূচির বাইরে থাকায় এবং হাতে কোনো কাজকর্ম না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে এসব মানুষ চরম বেকায়দায় পড়েছেন।
জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর উপজেলার আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হতে আরো ২০/২৫ দিন বাকি। এ অবস্থায় ঝড় ও বৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এসব এলাকার কর্মহীন মানুষ সংসারের প্রয়োজনে শহরে রিকশা চালাচ্ছেন। কেউ বা এ বাড়ি ও বাড়ি ফরমায়েশ খাটছেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সে কাজও না থাকায় বিগত তিনদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের। এদিকে, ঝড়-বৃষ্টিতে আমন ধানের চারা মাটিতে হেলে পড়েছে। যারা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছেন, দুঃশ্চিন্তায় এখন তাদের ঘুম হারাম হওয়ার অবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এসআই