ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ৩ রাখালের, উদ্ধার শতাধিক মহিষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ৩ রাখালের, উদ্ধার শতাধিক মহিষ উদ্ধার করা মহিষ/ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর: নিম্নচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চর কাঁকরা থেকে নিখোঁজ হওয়া তিনজন রাখালের সন্ধান মেলেনি। তবে ভেসে যাওয়ার সময় শতাধিক মহিষ জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। 

রোববার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাখালদের মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বজনরা অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন।

শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মাতব্বরনগর, সাহেবেরহাট ও মতিরহাট এলাকায় স্থানীয় লোকজন নদীর তীর ঘেঁষে ভেসে যাওয়ার সময় প্রায় শতাধিক মহিষ জীবিত উদ্ধার করেছেন। এসময় বেশ কিছু মৃত গরু ও মহিষ মেঘনা নদীর জোয়ারে পানিতে ভেসে যেতে দেখা যায়। উদ্ধার হওয়া বেশিরভাগ মহিষই অসুস্থ।

নিখোঁজ রাখালরা হলেন- উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবদুর জাহের (৫০), চর ফলকন গ্রামের কালু পালোয়ানের ছেলে হান্নান (৩৫) ও একই গ্রামের দুলালের ছেলে মো. বাহার (২৫)।

কমলনগর মহিষ খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান স্বপন নিখোঁজ রাখালদের সন্ধান না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত মহিষ মালিক মো. ফিরোজ বাঘা বলেন, নিখোঁজ রাখালদের সন্ধান চলছে। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় শতাধিক মহিষ উদ্ধার হয়েছে।  

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে কেউ এখনও থানায় জানায়নি।  

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সারোয়ার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা করা হবে। নিখোঁজ রাখালদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দিনগত রাত ৩টার দিকে কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা কাঁকরার চরে ফিরোজ বাঘার মহিষ কিল্লা থেকে জলোচ্ছ্বাসে তিনজন রাখাল, ৬শ মহিষ ও ১শ গরু ভেসে যায়। লণ্ড ভণ্ড হয়ে যায় গরু-মহিষ রাখার কিল্লা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।