রোববার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার বেনাপোল কাস্টমসের সামনের মহাসড়কে ট্রাক দাঁড় করিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
জানা যায়, একটি সিএন্ডএফ এজেন্সির আমদানিকৃত পণ্য বেনাপোল বন্দর থেকে সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে এলে বিজিবি গাড়ি তিনটি আটক করে।
এদিকে, এই ব্যস্ততম মহাসড়ক অবরোধের ফলে চলাচলকারী দূরপাল্লার পরিবহন ও আমদানি পণ্য নিয়ে কয়েকশ’ ট্রাক আটকা পড়ে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বাংলানিউজকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া বিজিবি সদস্যরা সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে আমদানি পণ্য বার বার আটক করছে। তারা মালামাল বেনাপোলে না দেখে যশোরে নিয়ে পরীক্ষার নামে দিনের পর দিন ফেলে রেখে হয়রানি করছে। এতে ব্যবসায়ীরা মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ’
তিনি বলেন, ‘একে অন্যের সঙ্গে কথা বাক-বিতণ্ডা হতে পারে। তাই বলে তারা ব্যবসায়ীর গায়ে হাত উঠাবে তা মেনে নেওয়া যাবে না। ’
এসময় বিজিবির অধিনায়ক (সিও) অভিযুক্ত সৈনিকের বিচারের আশ্বাস দেয়ায় আপাতত সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এর সুষ্ঠু বিচার না পেলে আগামীতে বড় ধরনের আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনে বিজিবি ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে যৌথ বৈঠক হয়েছে। সেখানে সন্তোষজনক সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এজেডএইচ/পিএম/আরবি/