গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পর ক্রমেই কমছে বাতাসের আর্দ্রতা আর বাড়ছে হিমেল ঠাণ্ডা পরশ। কিছুদিন ধরে দিনের বেলা গরম ও রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে চারদিকে হঠাৎ করে কুয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় সড়ক-মহাসড়কে যান বাহন চলাচলে কিছুটা বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়েছে। এমন কি ভোরে সাদা কুয়াশাচ্ছন্ন নগরীর চেনা অলি-গলিগুলোকেও অচেনা মনে হয়েছে। কাক ডাকা ভোরে হেঁটে চলা পথচারী কিংবা ফেরিওয়ালা চেনা দায়।
এদিন সকালে খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর খুলনায় কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের আগমনী বার্তা দেখা দিয়েছে। তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। নভেম্বর থেকে পুরোপুরি শীত চলে আসবে।
গ্রামে হেমন্তে মাঠে মাঠে শিশির ভেজা সোনালি ধানের বাহার। কোথাও কোথাও কাঁচা-পাকা ধানের ভারে নুইয়ে পড়েছে গাছ। যা কৃষকের চোখে-মুখে-ঠোঁটে চিকচিকে হাসি এনে দিয়েছে। বর্ষার দীর্ঘ-অনিশ্চিত কর্মহীন-রোজগারহীন সময়ের ধকল পেরিয়ে আনন্দময় দিনের আগমণ। কেউ কেউ উৎসবের মতো করে শুরু করেছে আগাম ধানকাটার আয়োজন। এদিকে শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। লেপ, তোষক, কম্বল, চাদর, জাজিম ও কার্পেটের বিক্রি শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এমআরএম/এএটি