ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরতে লক্ষ্মীপুরের ৫০ হাজারেরও বেশি জেলে এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ঘাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিপুল সমাগম।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার মেঘনাপাড়ে খোঁজ-খবর নিয়ে এমনটাই জানা গেছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় ২২ দিন তারা মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। শুধু মাছ ধরাই একমাত্র পেশা হওয়ায় এ দিনগুলোতে অলস সময় পার করতে হয়েছে তাদের। ফের মাছ ধরা শুরু হয়েছে, আশা করছেন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।
রামগতির সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি আইন বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসনের ব্যাপক ভূমিকা ছিলো। ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ ও কোস্টগার্ড অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় বরফ কলের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বিষয়ক সভা-সভাবেশ করা হয়। এতে স্থানীয় জেলেদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হয়। যে কারণে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ইলিশ রক্ষার অভিযান অনেক বেশি সফল।
কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল কুদ্দুস বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম ছিল। এই ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিলো। এসময় ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুত নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন আরোপিত সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। রোববার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে মাছ ধরতে শুরু করেছে জেলেরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরার দায়ে ১৬ জেলের জেল-জরিমানা হয়েছে। পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে কয়েক লাখ মিটার জাল। জব্দকৃত ইলিশ বিতরণ করা হয়েছে এতিমখানায় ও গরীবদের মাঝে। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ফের নদীতে মাছ শিকারে নেমেছে। আশা করি তাদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।
বাংলাদেশ সময় : ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
সাজ্জাদুর রহমান/জেডএম