ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

উৎসবমুখর মেঘনায় প্রথম দিনেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
উৎসবমুখর মেঘনায় প্রথম দিনেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উৎসবের আমেজে নদীতে নেমেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাচ্ছেন জেলেরা। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে নেমেছেন ভোলার লক্ষাধিক জেলে। প্রথম দিনেই প্রচুর ইলিশ পেয়ে খুশি তারা। অনেকদিন পরে মেঘনা নদীতে নামতে পেরে উৎসবের আমেজ জেলেপাড়ায়।

এ ক’দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে জেলে পরিবার, পাইকারি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবারের ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান আরও বেশি সফল হয়েছে।  

ইলিশের আমদানিতে সরগরম মৎস্যঘাটগুলোও।                     <div class=

ছবি: বাংলানিউজ" src="http://cdn.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Bhola-f2222_BGGG20171023111110.jpg" style="width:100%" />নিষেধাজ্ঞার এ ২২ দিনে জেলায় ৩০ হাজার মেট্রিক ইলিশ সংরক্ষিত হয়েছে বলে জানিয়ে অভিযানের সফলতা দাবি করছে মৎস্য বিভাগও।

রোববার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোর থেকেই জাল, নৌকাসহ অন্য সরঞ্জাম নিয়ে মেঘনায় নেমে পড়েছেন জেলেরা। প্রথম দিনেই তাদের ধরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের আমদানিতে সরগরম হয়ে উঠেছে মৎস্যঘাটগুলোও।

জেলেরা জানান, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণে ০১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায়  বেকার হয়ে পড়েছিলেন তারা। ধার-দেনা করে অভাব-অনটনে দিন কাটাতে হয়েছে। এবার মাছ বিক্রির টাকায় দেনা পরিশোধ ও অভাব দূর হবে।

নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে নেমেছেন ভোলার লক্ষাধিক জেলে।  ছবি: বাংলানিউজতবে জেলে পুনর্বাসনের চাল অনেকেই পাননি বলে অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।

ইলিশা জেলেপল্লির জেলে কামাল হোসেন ও আ. রহমান বলেন, ‘২২ দিন মাছ শিকারে যাইনি। রোববার ভোরে নদীতে নেমেই প্রচুর ইলিশ পেয়েছি। এভাবে পেতে থাকলে দেনা পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো’।  

পাইকারি ব্যবসায়ী জসিম বলেন, ‘৩ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এখন নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ পড়ছে। আশা করি, সে লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবো’।

প্রচুর ইলিশ আসায় খুশি আড়ৎদাররাও। অভিযান সফল হয়েছে বলে মন্তব্য তাদের।

ইলিশা মৎস্যঘাটে ঘুরে দেখা গেছে, জেলে, পাইকারি ব্যবসায়ী আর আড়ৎদারদের হাক-ডাকে মুখরিত আড়ৎগুলো। হালিপ্রতি বড় সাইজের ইলিশ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও মাঝারি সাইজের ইলিশ ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ মুহূর্তে জাটকা ইলিশ নেই বলেও জানান জেলেরা।

ইলিশা মৎস্যঘাট আড়ৎদার সমিতির নেতা মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এ ঘাটে প্রথম দিনেই ৪ লাখ টাকার ইলিশ বিকি-কিনি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার মাছের আমদানি অকে ভালো।  

মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, জেলায় এক লাখ ৩২ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। তবে সরকারিভাবে বরাদ্দ এসেছে ৮৮ হাজার জেলের নামে। তাই সবাইকে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে চাল বিতরণ কার্যক্রম এখনও চলছে।

তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে জেলায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ সংরক্ষিত হয়েছে। তবে ৪৮৮টি অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ১৭৯ জন জেলেকে কারাদণ্ড, ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৮ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ইলিশ অভিযান সফল।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এসআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।