মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার।
তিনি বলেন, গত ২ আগস্ট থেকে অস্ত্র ও লাইসেন্স জব্দ শুরু হয়।
‘লাইসেন্সধারীরা ১২টি আগ্নেয়াস্ত্রের দোকান থেকে এসব অস্ত্র কিনেছিলেন। এর মধ্যে ৮টি দোকানের আগ্নেয়াস্ত্র বেচা-কেনা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রারসহ সব রেকর্ডপত্র জব্দ করা হয়েছে। আরও ৪০ থেকে ৫০টি অবৈধ লাইসেন্স ও আগ্নেয়াস্ত্র জব্দের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। ’
মোজাহার আলী সরদার বলেন, রংপুর জেলা প্রশাসক অফিসের জেএম শাখার অফিস সহকারী শামসুল ইসলাম এবং ওই শাখার ভলিউম থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৩শ’র বেশি ভুয়া অস্ত্রের হদিস পাওয়া গেছে। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ থাকার সময় তিনি তা দিয়েছেন। যা গুরুতর অপরাধ। গ্রেপ্তার শামসুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে অস্ত্র ক্রেতাদের নাম ঠিকানা বলেছেন। এছাড়া শামসুল ইসলামের অস্ত্র ক্রেতা সংগ্রহের মূল হোতা আব্দুল মজিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া নাম-ঠিকানা অনুয়ায়ী দুদক অস্ত্র ক্রেতাদের নোটিশ দিয়ে অস্ত্র জমা দিতে বলে। সেই ধারাবাহিকতায় অস্ত্র জব্দ করা হচ্ছে।
শামসুল ইসলাম রংপুর ডিসি অফিসের জেএম শাখার অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে ডিসির সই জাল করে ভুয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছেন তিনি। দুদক ও পুলিশ তাকে তিন দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অস্ত্র বিক্রির কথা স্বীকার করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমূল্য চন্দ্র রায় বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে কোতয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা করা হয়।
মামলাটি পরে দুদকে স্থানান্তর করা হলে রংপুর র্যাব-১৩ সদস্যরা গত ৬ জুলাই শামসুল ইসলামকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল থেকে তার সহযোগী আব্দুল মজিদকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এএ